ছয় আরব দেশকে গাজায় টেনে আনছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরব ছয় দেশকে গাজায় টেনে আনার পরিকল্পনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রিয়াদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইসি) সম্মেলনের ফাঁকে তারা এই পরিকল্পনা করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন

জেরুসালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, রিয়াদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইসি) সম্মেলনের ফাঁকে আরবের ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে যুদ্ধোত্তর গাজা নিয়ে দুটি পর্যায়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে থাকবে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পূর্বশর্ত অর্জন, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)-এর প্রত্যাবর্তনে ইসরাইলের গ্রহণযোগ্যতা, বিনিময়ে হামাসের বন্দীদশা থেকে বন্দীদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি, এবং গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের জন্য একটি টেকনোক্র্যাটিক সরকার গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর মধ্যে ইসরাইল-সৌদি স্বাভাবিকীকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, প্রথম ধাপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পরিকল্পনাটির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হবে না।

পরিকল্পনায় আরো আছে গাজার পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন, শরণার্থীদের মর্যাদা, জেরুজালেম, ইসরাইলি বসতি এবং ইসরাইল ও একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে চূড়ান্ত স্থিতির আলোচনা, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) পুনরুজ্জীবিত করা এবং বিভিন্ন ফিলিস্তিনি উপদলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ পুনর্মিলন ঘটানো, হামাসকে নিরস্ত্র করে তাতে যুক্ত করা ইত্যাদি।

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সুলিভানের বৈঠকে পরমাণু সহায়তা ইস্যু

বৈঠকে অংশ নেয়া ছয় আরব দেশ হলো সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, আমিরাত, কাতার এবং ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ)।

সরকার পিএ সদস্য এবং একটি অনির্দিষ্ট ‘টেকনোক্রেটিক কমিটি’ নিয়ে গঠিত হবে বলেও জানা গেছে।

ফেব্রুয়ারিতে স্কাই নিউজ আরাবিয়া জানিয়েছে যে হামাস যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজায় একটি টেকনোক্রেটিক সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। আগের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছিল যে হামাস পিএলওতে যোগ দেয়ার জন্যও রাজি ছিল।

সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট