আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের সাক্ষাৎ ছাড়াই সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সফর শেষ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
ইসরাইলি বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় গাজায় বেসামরিক দুর্ভোগ কমানোর জন্য আঞ্চলিক ঐকমত্য তৈরি করার প্রচেষ্টায় সীমিত সাফল্যের পরে তিনি এ সফর করেন।
রোববার রাতে তুরস্কে পৌঁছান ব্লিঙ্কেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সাথে বৈঠক করেন মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিক। তবে বৈঠকের বিষয়ে কোনো যৌথ বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
বৈঠকে গাজার যুদ্ধ এবং হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বন্দী বিনিময়সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তুর্কি কর্মকর্তাদের হামাসের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করতে এবং বন্দীদের মুক্তি দিতে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি। তবে এ বিষয়ে তুরস্কের অবস্থান ছিল খুবই স্পষ্ট।
তুরস্ক বলেছে, বন্দীদের মুক্তি পারস্পরিক হতে হবে। ইসরাইল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিলে হামাসও বন্দীদের মুক্তি দেবে।
তুরস্ক একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির কথাও বলেছে। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির জন্য একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা থাকা উচিত।
তবে যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ব্লিঙ্কেন বক্তব্য জানা যায়নি।
তিনি মানবিক বিরতির কথাটি তুলেছেন। তবে এটি যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের আগে ইরাক সফর করেন ব্লিঙ্কেন। এর আগে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে লেবানন, কাতার, মিসর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সাথেও দেখা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আগে ইসরাইল সফর করেন তিনি।
সূত্র : এপি নিউজ, আল-জাজিরা এবং অন্যান্য
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।