আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানের চারপাশে চীনের মহড়া ওই দেশটির সামরিক শক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে গোপন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ করে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করবে- চীন সেটা ভালো করেই জানে, তাই পূর্ণ সক্ষমতা প্রদর্শন নাও করতে পারে বলে মনে করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
মার্কিন কংগ্রেস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের জেরে তাইওয়ানের চারপাশে ব্যাপক সামরিক মহড়া চালায় চীন। তাইওয়ান ইস্যুতে বাইরের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এটি ছিল সতর্কবার্তা। তবে এতে করে চীন নিজেদের অনেক গোপন বিষয় শত্রুদের জানিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এই মহড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চীনের সামরিক শক্তির ব্যাপারে গোপন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ করে দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গত সপ্তাহে চারদিনের ব্যাপক মহড়া এবং চলতি সপ্তাহে বর্ধিত অনুশীলন চালায় বেইজিং। এই মহড়ায় যেকোনো ধরনের আক্রমণ কিংবা হস্তক্ষেপকারী বিদেশি সামরিক বাহিনীকে তাড়াতে চীন যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, তা যাচাই করার একটি সুযোগ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। একইসঙ্গে চীনের যোগাযোগব্যবস্থা সম্পর্কেও জানার সুযোগ করে দিয়েছে তাদের।
এ মহড়ায় প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। দ্বীপটির পূর্ব উপকূলের জাহাজগুলোর ওপর বিমান ও নৌ হামলার অনুকরণে অনুশীলনও চালানো হয়। আর এসব অনুশীলনে এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের কথা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন সামরিক কর্মকর্তা। তবে তারা এও বলেছেন চীন জানে এই মহড়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, তাই পুরো সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন নাও করতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।