জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে ডলারের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম। বিপরীতে কমছে টাকার মান। শুধু তাই নয়, অন্যান্য মুদ্রার বিরুদ্ধেও দুর্বল হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রা। রবিবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, গত ১ নভেম্বর প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। বর্তমানে যা ১১১ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিংয়ে দর ছিল ১৩৪ টাকা ৩১ পয়সা। এখন তা ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে।
১ নভেম্বর ইউরোর দর ছিল ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমানে যা ১১৮ টাকা ৬০ পয়সা। সেসময় ভারতীয় রুপির মূল্য ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা। এখন তা ১ টাকা ৩৩ পয়সা। ওই সময় চীনা ইউয়ানের দাম ছিল ১৫ টাকা ০৫ পয়সা। এসময়ে তা দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ০৫ পয়সায়। চলমান মাসের সূচনাতে জাপানি ইয়েনের দর ছিল শূন্য দশমিক ৭২ পয়সা। এখন যা বিকোচ্ছে শূন্য দশমিক ৭৩ পয়সায়।
গত ১২ দিনে প্রায় সব আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেছে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে ডলারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বাইরের দেশগুলো সেটা জেনে গেছে। ফলে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো টাকার মান কমিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে নিজেদের মুদ্রার দাম বাড়িয়েছে তারা।
গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবনমন ঘটেছে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ। তাতে রেমিট্যান্স আহরণে খরচ বেড়েছে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পড়েছে বিপাকে। বাড়তি দামে প্রবাসী আয় কিনেও কম দরে তা বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে তহবিলের জোগান হ্রাস পাচ্ছে।
এখন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) ডলারের দাম নির্ধারণ করে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, রেমিট্যান্সের ডলারের সর্বোচ্চ দর ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ করে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার ও ব্যাংক। এতে মোট ইনসেন্টিভ দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে ইউএস মুদ্রার মূল্য স্থির হয়েছে ১১৬ টাকায়। কিন্তু এই দরে ডলার পাচ্ছে না ব্যাংক। ফলে ১২২ থেকে ১২৭ টাকায় তা কিনছে তারা। তাতে ৬ থেকে ১১ টাকা পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।