জুমবাংলা ডেস্ক : অবৈধ লেনদেন করে টিকে পারলেন না চকরিয়ার সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন এবং অফিস সহকারী মমতাজ বেগম। তাদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব সৈয়দ মো. নুরুল বাসি এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
আদেশে বরখাস্ত থাকাকালে মমতাজ বেগমকে নিয়মিত কর্মস্থলে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই দুই কর্মকর্তা এতিমখানার বরাদ্দ করা এক লাখ ৯২ হাজার টাকা পেতে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তারমধ্যে প্রথম দফায় ৪০ হাজার টাকা ঘুষের টাকা কর্মকর্তা আমজাদের নির্দেশে অফিস সহকারী মমতাজ বুঝে নেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। এরপর ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে সব মহলে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগমের ডেস্কের সামনে হারবাং ইউনিয়নের মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও আরেকজন লোক বসে আছেন। এমন সময় আরেকজন মধ্যবয়স্ক নারী তার কক্ষে ঢোকেন। একপর্যায়ে মমতাজ বেগম তার চেয়ার থেকে উঠে ইশারায় রফিকুল ইসলামকে পাশের কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা হয়। এ সময় মমতাজ বেগমকে রফিকুল তার পকেট থেকে বের করে এক হাজার টাকার নোটের একটি বান্ডিল দেন।
টাকার বান্ডিল পাওয়ার পর মমতাজ বেগম জানতে চান, এখানে কত দিয়েছেন? তখন ওই ব্যক্তি গুনে নিতে বললে মমতাজ টাকাগুলো গুনতে থাকেন। ওই সময় রফিকুল বলেন, আমি টাকা তুলতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে টাকা এনেছি। প্রথম কিস্তির বরাদ্দ বাবদ ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা তুলতে পারিনি। তখন মমতাজ বেগম রফিকুলকে বলেন, আপনি ঠকে যাবেন। আপনার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।
রফিকুল অনুরোধ করে বলেন, আমি বেঁচে থাকলে টাকা পাবেন। টাকা গোনা শেষে মমতাজ বেগম সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনকে ফোন করে বলেন, স্যার, রফিক মেম্বার ৮০ হাজার দেওয়ার কথা ছিলো, ৪০ হাজার দিয়েছে। স্যার, এক মাস পর আবার বিল আছে, তখন কেটে রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।