জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) কাজল কুমার শীলের ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগেও কাজল কুমার শীলের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যে কারণে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, তহশিলদার কাজল কুমার শীল এক জমির মালিককে বলছেন, ‘এক একর নিরাননব্বই শতক জমির নামজারি খতিয়ানের জন্য ১ থেকে ২ হাজার টাকা না দিলে কেমন হবে।’
ভিডিওতে তহশিলদারকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘এক একর নিরাননব্বই শতক জমি মানে দুই একর জমি। আরও টাকা দিতে হবে।’
ভিডিওতে এরপরই তহলিশলদারকে কয়েক হাজার টাকা ছৈয়দ আলম নামে এক ব্যক্তির হাত থেকে নিয়ে পকেটে ভরতে দেখা যায়। কাজলের আস্থাভাজন ছৈয়দ আলম ভূমি অফিসের দালাল বলে পরিচিত।
ভিডিওতে ছৈয়দ আলম তহশিলদারকে বলেন, ‘আরো টাকা দিতে হবে।’ ছৈয়দ আলম আরও টাকার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে তহশিলদারকে আশ্বস্ত করেন।
গতকাল সোমবার সারাদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তহশিলদারের ঘুষ নেওয়ার ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ভূমি অফিসের ভুক্তভোগীরা জানান, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে মহেশখালী ঘোরকঘাটা ভূমি অফিস থেকে তিন বছর আগে বদলি হয়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করেন কাজল কুমার শীল। এখানে যোগদান করেও তিনি জড়িয়ে পড়েন একই ধরনের অনিয়মে।
ঘুষ নেওয়ার ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে জানতে তহশিলদার কাজল কুমার শীল বলেন, মূলত আমি সঠিক কাগজ ছাড়া ভূমি নামজারির কোনো কাজ করি না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি দালাল চক্র আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব করছে। ভিডিওটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আমি ওই টাকা ফেরত দিয়েছি, নিইনি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে পেকুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ বলেন, সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কয়েক দিন পূর্বে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। আমার অধীনে নেই। এ ছাড়া ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।