আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২৩ সাল ছিল ধনীদের জন্য একটি ঘুরে দাঁড়ানো বছর। আগের বছর বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের পাহাড় থেকে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়েছিল। সেই অবস্থান পেছনে ফেলে ২০২৩ সালে তাদের সম্পদ বেড়েছে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারের ভালো পারফরম্যান্স, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা, দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও চলতি বছর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টকমূল্য নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। চলতি বছর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উন্মাদনায় ভর করে টেক বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বেড়েছে ৪৮ শতাংশ বা ৬৫৮ বিলিয়ন ডলার।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বছর গেছে ইলন মাস্কের। এ বছর ফরাসি বিলাসবহুল পণ্যের কোম্পানি এলভিএমএইচের প্রতিষ্ঠাতা বার্নার্ড আর্নল্টের পেছনে ফেলে আবারও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি খেতাব নিজের করে নেন তিনি।
২০২২ সালে টেসলা ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তার সম্পদের সাম্রাজ্য থেকে ১৩৮ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছিলেন। কিন্তু সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। টেসলা ও স্পেসএক্সের সাফল্যের ওপর ভর করে বৃহস্পতিবারের (২৮ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে তার সম্পদের পাহাড়ে আরও ৯৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বিলাসবহুল পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় বার্নার্ড আর্নল্টের মোট সম্পদের তুলনায় ইলন মাস্কের সম্পদ বর্তমানে প্রায় ৫০ বিলিয়নেরও বেশি।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের তথ্যানুসারে, ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২২৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তি বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ ১৭৯ বিলিয়ন ডলার।
অ্যামাজন ডট কম ইনকরপোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ব্লুমার্গের সূচকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৭৭ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছর তার সম্পদ বেড়েছে ৭০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, আর্নল্টের সঙ্গে মাস্কের সম্পদের ব্যাপক ব্যবধান থাকলেও জেফ বেজোস ও আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ প্রায় কাছাকাছি।
ব্লুমবার্গ সূচকে ষষ্ঠ স্থানে থাকা মেটা প্ল্যাটফর্ম ইনকরপোরেটেডের সিইও মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ চলতি বছর বেড়েছে ৮০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১২৮ বিলিয়ন ডলার।
তবে কারও কারও ভাগ্যে উল্টোও ঘটেছে। এর মধ্যে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি অত্যতম উদাহরণ। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর কেবল ২৭ জানুয়ারিই ২১ বিলিয়ন ডলার হাতছাড়া হয় এই ধনকুবেরের। এ ছাড়া সারা বছরে তার সম্পদ কমেছে ৩৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। তবুও এখনও বিশ্বের ১৫তম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি।
প্রতিবেদন লেখার সময় তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। তিনি ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। বর্তমানে ভারতে শীর্ষ ধনী হচ্ছে মুকেশ আম্বানি। তার সম্পদের মূল্য ৯৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ সূচকে ১৩তম স্থানে রয়েছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।