জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোনা শহরের দক্ষিণ সাতপাই এলাকায় রেলওয়ে সিগন্যালের পাশের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম রফিক বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুশোকে স্ত্রী রিনা বেগমও রাতে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়। রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক ছিলেন।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নে কুনিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম রফিক বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মৎস্য খামারে মোটরপাম্পের সুইস দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে আহত হন। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
রফিকুল ইসলাম রফিকের লাশ সাতপাই বাসায় নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর স্ত্রী রিনা বেগম চিৎকার দিয়ে বলেন ‘তুমি লাশের কাঠিয়ায় (খাটিয়া) শুয়ে আছো কেন? আমাকে রেখে তুমি কোথায় যাও’। এসব কথা বলে তিনিও মাটিতে শুয়ে পড়েন। স্ট্রোকজনিত কারণে রিনা বেগমের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাঁকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন চিকিৎসক।
নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় রিনা বেগমের। একই দিনে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে তাদের বাড়িতে ভিড় করেন।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সাতপাই এলাকায় রেলওয়ে সিগনালের পাশে জামে মসজিদের সামনে স্বামী-স্ত্রীর জানাজা শেষে সাতপাই পৌর কবরস্থানে লাশ দুটি দাফন করা হয়। রিনা ও রফিক দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেও বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।