বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : উন্নত দেশের বৈদ্যুতিক গাড়ির বিপ্লবের হাওয়া লাগছে বাংলাদেশেও। দ্রুতই বাড়ছে বাজার। বিস্তৃত হচ্ছে অবকাঠামো সুবিধাও। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তুলনামূলক কম দামসহ চার কারণে আগ্রহ বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়িতে। তাদের মতে, মধ্যবিত্তের জন্য পরিবেশবান্ধব এসব গাড়ি নিশ্চিতে ভাবতে হবে সরকারকে।
বিশ্ব মেতেছে নতুন জোয়ারে। পুরোনো প্রযুক্তিকে হটিয়ে সড়কে ও রাস্তায় জায়গা করে নিচ্ছে নতুন এই উদ্ভাবন। পরিবেশ ঠিক রাখতে উন্নত দেশগুলোর সরকার ভরসা রাখছে বৈদ্যুতিক গাড়ি ইভির (ইলেক্ট্রিক্যাল ভেহিক্যাল) এই বিপ্লবে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উন্নয়নশীল দেশেও।
জার্মান ব্র্যান্ড অডির ঢাকার একটি শোরুমে যত গাড়ি, সবই বৈদ্যুতিক। চাহিদা বাড়ায় তেলচালিত গাড়ির পরিবর্তে ইভি বিক্রিতেই মনোযোগ কোম্পানিটির। ইলন মাস্কের টেসলা, জার্মানির বিএমডব্লিউ, পোরশে, মার্সিডিজ, চীনের এমজিসহ নানা ব্র্যান্ডের ইভি আমদানি হচ্ছে। সম্প্রতি বাজারে এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভি কোম্পানি চীনের বিওয়াইডির গাড়ি। আসার অপেক্ষায় চেরিও।
রানার গ্রুপের হেড অব বিজনেস আমিদ সাকিফ খান বলেন, ‘আমরা কিছু এক্সামপল নিতে পারি ওয়েস্টার্ন কান্ট্রি থেকে বা উন্নত দেশ থেকে। আমরাও উন্নত দেশ হওয়ার মতো কাজ করছি, এগিয়ে যাচ্ছি। সেই পলিসির দিকগুলো যদি আস্তে আস্তে আমাদের বাংলাদেশে ঠিক হয় তাহলে সবাই একটা ভালো ফলাফল পাবে। সরকারও পাবে, আমাদের ইউজাররাও পাবে, ব্যবসায়ীরাও পাবে।’
উদ্যোক্তারা জানান, নতুন কিংবা পুরোনো গাড়ি আমদানিতে কর ১৩০ থেকে ৮৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে ইভি আমদানিতে কর মাত্র ৮৯ শতাংশ। ফলে ইভির দামও কম। তেলচালিত গাড়িতে এক কিলোমিটার পথে খরচ হয় ১৫ টাকা পর্যন্ত। ইভিতে বিদ্যুৎ খরচ চার টাকা সর্বোচ্চ।
গ্রাহকদের সুবিধায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চার্জিং স্টেশন স্থাপন করছে গাড়ি কোম্পানিগুলো। ক্রেতারা বাসায় ও অফিসেও ইনস্টল করে দিচ্ছে চার্জিং সুবিধা।
গবেষণা সংস্থা সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘অবকাঠামো উন্নয়নের যেমন দরকার আছে। সাবিকভাবে এটার ইকোনোমিক্যাল ও ফিন্যানসিয়াল সাসটেইনেবিলিটি, এটা আমার জ্বালানি নিরাপত্তার যে অ্যানালাইসিস আছে সেটাকে নিয়ে মধ্য মেয়াদে পরিকল্পনা করে এগুনো উচিত।’
তবে ইভির চাহিদা এখনো উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যবিত্তও যাতে ব্যক্তিগত পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহার করতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে সরকারকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।