আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে সাবওয়ে রেস্তোরাঁয় স্যান্ডউইচের দাম পরিশোধের সময় এক নারী ভুলবশত সাত হাজার ডলারের বেশি বকশিশ দিয়েছেন। ভেরা কোনার নামের ওই নারী এনবিসি নিউজকে তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
কোনার জানান, গত ২৩ অক্টোবর তিনি স্থানীয় সাবওয়ে রেস্তোরাঁয় একটি ইতালীয় সাব অর্ডার করেন, যার দাম ছিল ৭.৫৪ মার্কিন ডলার। কিন্তু শেষে ৭১০৫.৪৪ ডলার বকশিশ দেন।
বাংলাদেশি মুদ্রার হিসাবে, ৮৩০ টাকা মূল্যের একটি স্যান্ডউইচের জন্য তিনি সাত লাখ ৮২ হাজার টাকা বকশিশ দিয়েছেন।
এ অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাংক অব আমেরিকার একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছিলেন কোনার। সে সময় তিনি ভুলবশত অর্থের পরিমাণ না চেপে তার ফোন নম্বরের শেষ ছয়টি অঙ্ক চাপেন। তিনি ভেবেছিলেন, সাবওয়ে লয়ালটি পয়েন্ট পেতে যাচ্ছেন।
কিন্তু স্ক্রিনটি পরিবর্তিত হয় এবং সংখ্যাটি বকশিশ হিসেবে কেটে নেওয়া হয়।
সপ্তাহের শেষে যখন কোনার তার ক্রেডিট কার্ডের বিবরণী দেখেন, তখন সংখ্যাটিতে তার চোখ আটকে যায়। তিনি ভাবতে থাকেন, কিভাবে এত বড় অঙ্কের অর্থ তিনি খরচ করলেন।
কোনার এনবিসিকে বলেন, ‘আমি যখন আমার রসিদের দিকে তাকালাম, তখন সংখ্যাটি পরিচিত মনে হলো।এটি আমার ফোন নম্বরের শেষ ছয়টি অঙ্ক।’
প্রাথমিক ধাক্কা সামলানোর পর কোনার তার ব্যাংকে অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু ব্যাংক তা বাতিল করে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, এর সহজ সমাধান হবে। কিন্তু ব্যাংক অস্বীকৃতি জানায়।’ ব্যাংকের চিঠিতে এর পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তখন উদ্বিগ্ন হতে শুরু করি।’
সমস্যার সমাধানের জন্য কোনার সাবওয়েতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাংককে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে জানিয়ে দেন সেখানকার একজন ম্যানেজার। তারপর কোনার আবারও ব্যাংকে অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবি জমা দেন। এক মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে গত সোমবার ব্যাংক পদক্ষেপ নেয়।
ব্যাংক অব আমেরিকার একজন মুখপাত্র দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘ক্রেতাকে টাকা ফেরত দিতে আমরা সাবওয়েকে বলেছি। আমরা খুশি যে তারা তা করতে রাজি হয়েছে।’
সূত্র : এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।