বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কুর্দি জ্যোতির্বিদ্যা ফটোগ্রাফার দারিয়া কাওয়া মির্জা চাঁদের সবচেয়ে উন্নত বা আধুনিক ছবি তুলেছেন। যেটি অভূতপূর্ব পৃষ্ঠের বিবরণ প্রকাশ করেছে।
রোববার ১ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিটির জন্য টানা চার দিনের পর্যবেক্ষণ এবং শুটিংয়ের প্রয়োজন ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁদের ভূগোলকে অত্যাশ্চর্য স্পষ্টতা এবং বিশদভাবে বর্ণনা করে বা চাঁদের বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ করে এমন স্পষ্ট ছবি আগে কখনও দেখা যায়নি।
এই ছবিটিকে দারিয়া কাওয়া মির্জা ‘স্বচ্ছ এবং তীক্ষ্ণতম চাঁদের ছবি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি ছিল চার দিনের একটানা পর্যবেক্ষণ ও শুটিংয়ের ফল। চূড়ান্ত এই চিত্রটি ১৫৯.৭ মেগাপিক্সেল।
ফটোগ্রাফার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে ছবিটি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য প্রকাশ করেন।
ছবির আকার: ৭০৮ জিবি।
ছবি স্ট্যাক করা হয়েছে: ৮১ হাজারের বেশি।
কম্পোজিশন: চারটি চাঁদের ভিন্ন পর্যায় এবং ছায়া এলাকা একত্রিত করে বিশদ টপোগ্রাফি প্রকাশ।
ব্যবহৃত টেলিস্কোপ: স্কাইওয়াচার ফ্লেক্সটিউব ২৫০পি ডবসোনিয়ান একটি নিরক্ষীয় মাউন্ট এনইকিউ ৬প্রো-এ পরিবর্তিত।
ব্যবহৃত ক্যামেরা: ক্যানোন ইওএস ১২০০ডি (খনিজ পদার্থের জন্য), জেটডব্লিউও এএসআই ১৭৮এমসি।
এআই জড়িত: কোনোটিই নয়।
ছবির রেজোলিউশন: ১৫৯.৭ মেগাপিক্সেল।
ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন: চাঁদকে বিশদ টপোগ্রাফিসহ একটি ফ্ল্যাট ডিস্ক হিসেবে চিত্রিত করে।
ছবিটি রেডডিটে পোস্ট করা হয়েছিল। আর সেখানে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রাণবন্ত আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছিলেন, চিত্রের রঙগুলো চাঁদে প্রকৃত ধাতু এবং খনিজগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে কিনা? জবাবে একজন ব্যবহারকারী স্পষ্ট করেছেন, চিত্রের রঙগুলো মানুষের চোখ স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।