অন্যরকম খবর ডেস্ক : গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন্দী কুমিরটির বাস অস্ট্রেলিয়ায়। নাম ক্যাসিয়াস। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাসিয়াসের যে আকারের কথা মানুষ জানে, তার চেয়েও বড় হতে পারে প্রাণীটি। কারণ ২০১১ সালে গিনেস বুকে নাম ওঠার পর আর লোনা পানির কুমিরটির দৈর্ঘ্য মাপা হয়নি।
ক্যাসিয়াসের বয়স আনুমানিক ১২০ বছর। ২০১১ সালে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেওয়ার সময় তার দৈর্ঘ্য ছিল ১৮ ফুট (৫.৪৮ মিটার)। তারপর আর এর তত্ত্বাবধায়কেরা কুমিরটির দৈর্ঘ্য মাপেননি। অর্থাৎ, তারপর আরও বড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে কুমিরটির। এ তথ্য পাওয়া গেছে ‘লাইভ সায়েন্সে’র এক প্রতিবেদনে।
‘এটি খুব সম্ভব যে ক্যাসিয়াস ২০১১ সালের পর আরও বড় হয়েছে, তবে আমরা তাকে পুনরায় পরিমাপ করার চেষ্টা করিনি।’ অস্ট্রেলিয়ার মেরিনল্যান্ড ক্রোকোডাইল পার্কে ক্যাসিয়াসের দেখাশোনা করা টডি স্কট গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেন, ‘বড় কুমিরের বৃদ্ধির হার সম্পর্কে জানার জন্য কিংবা রেকর্ডটিকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে অদূর ভবিষ্যতে এটি করার চেষ্টা করতে পারি।’
সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইল বা লোনা পানির কুমির ২৩ ফুট (৭ মিটার) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। বন্দী কুমিরদের মধ্যে আগের রেকর্ডধারী ছিল ফিলিপাইনের একটি ইকো পার্ক ও ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভেশন সেন্টারে থাকা ৫০ বছর বয়স্ক ললোং। ওটার দৈর্ঘ্য ছিল ২০ ফুট (৬.১৭ মিটার)। ২০১২ সালে ধরা পড়ার পর ক্যাসিয়াসের থেকে রেকর্ডটি নিজের করে নেয় সে। কিন্তু কুমিরটি এক বছর পরেই অসুস্থ হয়ে মারা যায়, সেই সঙ্গে ক্যাসিয়াস আবার বিশ্বের বৃহত্তম বন্দী কুমিরের মর্যাদা পায়।
তবে ললোংয়ের দ্বিগুণের বেশি সময় বেঁচে থাকার পরও তার সমান দৈর্ঘ্যে পৌঁছাটা ক্যাসিয়াসের জন্য একটু কঠিন। ‘কুমিরের দৈর্ঘ্য পাঁচ মিটার (১৬.৪ ফুট) ছাড়িয়ে যাওয়ার পর এদের বৃদ্ধির গতি কমে আসে। এ সময় বছরে মোটে ১ সেন্টিমিটারের (০.৪ ইঞ্চি) মতো বাড়ে কুমিরেরা। কখনো কখনো কুমিরদের বৃদ্ধি থেমেও যায়।’ বলেন স্কট।
অবশ্য বন্য অবস্থায় পাওয়া আঘাতের কারণে ক্যাসিয়াসের দৈর্ঘ্য কয়েক ইঞ্চি কমে থাকতে পারে। ১৯৮৪ সালে যখন গবেষকেরা তাকে বন্দী করেন, তখন বিশালাকার কুমিরটি এলাকার দখল নিয়ে অন্য কুমিরদের সঙ্গে লড়াই করছিল। এ সময় নৌকার ইঞ্জিনে আক্রমণ করায়, তার নাক ও লেজের কিছু অংশ হারায় সে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সূত্রে জানা যায়, এই অনুপস্থিত শরীরের অংশগুলি ২০১১ সালের পরিমাপে হিসেবে আনা হয়নি। না হলে তার দৈর্ঘ্যে ৬ থেকে ১০ ইঞ্চি (১৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার) যোগ হতো।
জন্মের পর থেকে মেরিনল্যান্ড পার্কে বাস করছে এমন কুমিরদের আকারের সঙ্গে তুলনা করে ক্যাসিয়াসের তত্ত্বাবধায়কেরা অনুমান করেন যে বিশাল কুমিরটির জন্ম ১৯০৩ সালে। সে হিসেবে এ বছর নোনা জলের দৈত্যকার কুমিরটির ১২০ তম জন্মবার্ষিকী হওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।