আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সোনার খনি একটি প্রধান শিল্প হিসেবে সমৃদ্ধ হয়েছে। কিছু অঞ্চলে বিশাল সোনার মজুদ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরকমই একটি সোনার খনি ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সাধারণত গ্রাসবার্গ নামে পরিচিত, এই খনিটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সমৃদ্ধ সোনার খনি। এই খনি থেকে বছরে প্রায় ৪৮ টন সোনা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। এই খনির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, সোনার পাশাপাশি এটি বিশ্বের বৃহত্তম তামার খনিগুলির মধ্যেও একটি।
গ্রাসবার্গ খনি থেকে উত্তোলিত আকরিককে প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং তামা উভয়ই রয়েছে। পুনকাক জায়ার কাছে অবস্থিত, গ্রাসবার্গ খনি পাপুয়ার সর্বোচ্চ পার্বত্ত এলাকা। লক্ষণীয় যে, এই সমগ্র অঞ্চলটি টেকটোনিক প্লেটের স্থানান্তরের কারণে তৈরি হয়েছিল এবং খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এই খনি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সোনা উত্তোলন হলেও এর উপরের অংশের একটি বৃহৎ অংশ বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
খনির নিজস্ব বন্দর, বিমানবন্দর-
বড় আকারের খনি হওয়ায় বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার গ্রাসবার্গ খনিতে প্রায় ২০ বাজার লোক কাজ করে। খনিটির নিজস্ব বিমানবন্দর এবং বন্দর রয়েছে। এতে কর্মীদের জন্য আবাসিক কমপ্লেক্স, স্কুল এবং হাসপাতালও রয়েছে। আগে, এই খনির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল- এক মাইল প্রশস্ত খোলা অংশ। তবে, ভূপৃষ্ঠের মজুদ অনেকাংশে হ্রাস পাওয়ায় এখন ভূগর্ভস্থ উৎপাদন চলছে।
কিছু আকর্ষণীয় তথ্য-
– ২০২৩ সালে, গ্রাসবার্গ খনি থেকে ৫২.৯ টন (১.৭ মিলিয়ন আউন্স) সোনা, ৬৮০,০০০ টন তামা এবং ১৯০ টন রূপা উত্তোলন করা হয়েছিল।
এর ফলে এটা বিশ্বের বৃহত্তম খনিতে পরিণত হয়েছে।
– খনিটিতে এখনও আনুমানিক ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা মজুদ রয়েছে বলে অনুমান। অর্থাৎ আগামী অনেক বছর ধরেই এই খনি থেকে সোনা উত্তোলন সম্ভব।
– বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার এই খনিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ কাজ করে। এতে আবাসিক কমপ্লেক্স, স্কুল এবং এর কর্মীদের জন্য হাসপাতালও রয়েছে।
কবে এই খনি আবিস্কার করা হয়?
ডাচ ভূতাত্ত্বিক জিন জ্যাক ডোজি ১৯৩৬ সালে ওই অঞ্চলে খনিজ সম্পদের সম্ভার আবিষ্কার করেন। তবে, ১৯৬০-এর দশকে ফ্রিপোর্ট-ম্যাকমোরান এই অঞ্চলে খনির অধিকার অর্জন করলে বৃহৎ আকারের খনির কাজ শুরু হয়। তারপর থেকে, গ্রাসবার্গের ক্রমাগত সম্প্রসারণ হয়েছে। বহু বছর ধরে, এই খনি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলির মধ্যে একটি। সম্প্রতি, ইন্দোনেশিয়ান সরকার ফ্রিপোর্ট-ম্যাকমোরানকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত গ্রাসবার্গ খনিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।