সোনারগাঁয়ে স্ত্রীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী কামাল হোসেন আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে বাদী ইউসুফকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও এক্সিকিউটিভ আদালতে পৃথক এ দুটি মামলা করে। মামলা দুটিতে হত্যা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি ও আসবাবপত্র লুটের অভিযোগ তোলা হয়। এছাড়াও মামলা দুটিতে হত্যা মামলার বাদীর পাশাপাশি সাক্ষীদেরও আসামি করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, স্ত্রী হত্যার দায় এড়ানোর কৌশল হিসেবে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আদালতে মামলা দুটি দায়ের করেছেন। চুরির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবার অনিয়মের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সাক্ষ্য গ্রহণ না নিয়ে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার মহজমপুর বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা গণস্বাক্ষর নিয়ে শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপারের কাছে শনিবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর গ্রামের পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুরের শহিদুল্লাহর মেয়ে ফারজানা আক্তারকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে স্বামী কামাল হোসেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামী কামাল যৌতুক ও জমি লিখে দেওয়ার জন্য অজ্ঞাতনামা লোকজনের সহযোগিতায় কাঠের ডাসা দিয়ে তার স্ত্রী ফারজানা আক্তারের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এ সময় ফারজানা আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে ভর্তি করা হয়। ৪ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ফারজানা আক্তার মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ফারজানা আক্তারকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইউসুফ বাদী হয়ে ফারজানার স্বামী কামাল হোসেনসহ ৪ জনকে আসামি করে ২৮ নভেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যা মামলার পর পুলিশ নিহতের স্বামী কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। ৫ মাস জেল হাজতে থাকার পর চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সে আদালত থেকে জামিনে বের হয়।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম কবির বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি সত্য নয়। উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে চুরির মামলার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
হত্যা মামলার আসামি ও চুরির মামলার বাদী কামাল হোসেন জানান, হত্যা মামলায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তবে তিনি চুরির মামলা মিথ্যা দায়ের করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।