জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের কারণে বৈশ্বিক মন্দার ভেতরেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের এলডিসি লিস্ট থেকে উত্তরণ হবে।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’-এ টেকসই পন্থায় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার উপায় রয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স আয়োজিত ‘৩য় ইন্ট্যারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রেসিডেন্ট মো. ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’ এর ওপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইচিগুচি তমহিদি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলি এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার বলেন, জাতীয় ও বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে টেকসই উন্নয়নের জন্য স্থানিক পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি জেলা ও উপজেলার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নের পর্যায়গুলোতে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে নিজের মতামত প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনাবিদদের সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় স্পিকার ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’ অফিসিয়াল ঘোষণা দেন এবং এ অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স এর অর্থায়নে ঢাকা ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ড উদ্বোধন এবং ‘স্পেশিয়াল প্ল্যানিং ফ্রেমওয়ার্ক’ নামক একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।