জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কোটা না থাকার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, কোটার এমন সিদ্ধান্তে শহীদদের প্রকৃত চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করে ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনা ও স্পিরিটকে ভুল পথে প্রভাবিত করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা থাকতে পারে না। একইসঙ্গে জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা, পুর্নবাসনসহ তারা তিনদফা দাবি জানান।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন দাবি জানান তারা।
বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবং ছাত্র-নাগরিক গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সুচিকিৎসা, পুর্নবাসনের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জরুরি সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকেও কোটাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কোটা বৈষম্যকে বিলোপ করার জন্য যেই ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের আন্দোলন করেছিলাম। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়। কিন্তু আমরা ৭ মাস পার না হতেই দেখছি, যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা তার বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা থাকতে পারে না।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ বলছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছে ছাত্র-জনতা। কিন্তু বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার সেই আকাঙ্ক্ষা সঠিকভাবে পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
যে বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এতবড় আত্মত্যাগ সেই ধরনের কোটা ব্যবস্থা আবারও চালু করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। শহীদ এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা না করে তাদের কোটা নামক সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করা মানে সুস্পষ্টও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের সুযোগ সৃষ্টি করা, ঠিক যেমনি ভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দলে টানতেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ। অন্তবর্তীকালীন সরকারের ছাত্র প্রতিনিধিদের দায়িত্ব ছিলো পুরো জাতির ঐক্য ধরে রেখে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করা কিন্তু সেটা না করে এভাবে কোটাব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে জাতিকে বিভক্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের সুযোগ সন্ধান করা দুঃখজনক। কোটার এমন সিদ্ধান্তে শহীদদের প্রকৃত চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করে ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনা ও স্পিরিটকে ভুল পথে প্রভাবিত করা হচ্ছে।
এমত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনা ধরে রাখতে ৩ দফা দাবি জানাচ্ছে-
দাবিগুলো হলো- বৈষম্যমূলক কোটা অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ পরিবারকে ১ কোটি টাকা এবং আহত পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৫০ লাখ টাকা এককালীন দিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।