জুমবাংলা ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে আমাদের প্রচুর সহিংসতা হচ্ছে। অকারণে প্রচারণা, গাড়ি-ঘোড়া, ঢাক-ঢোল নিয়ে। সকলের আন্তরিক ও সমন্বিত প্রয়াস থাকলে এমন কঠিন কর্মযজ্ঞ সাধন অসাধ্য নয়। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে গণফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আমাদের প্রচুর সহিংসতা হচ্ছে। অকারণে প্রচারণা, গাড়ি-ঘোড়া, ঢাক-ঢোল নিয়ে, তার চেয়ে যদি প্রজেকশন মিটিংয়ের মতো যদি করা যায়। পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে, আমাদের এখানেও যদি করা যায়। আমি আশাকরি আমার সহকর্মী মাননীয় নির্বাচন কমিশনাররা বিবেচনা করে দেখবেন, এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকলের সমবেত প্রয়াস দরকার। সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ পর্যন্ত সংলাপে যতগুলো প্রস্তাব পেয়েছি, এর মধ্যে কতগুলো প্রস্তাব অভিন্ন। অস্ত্র শক্তি, অর্থের শক্তি, পেশি শক্তি; এগুলোর কিছু সংকট আছে। এগুলো আমাদের ওভারকাম করতে হবে, যদি ভোটারদের অবাধ, নির্বঘ্নে ভোট প্রদানে সুযোগ দিতে হয়।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় সেনাবাহিনীকেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় বিতর্ক মাঠে চলছে। নির্বাচন কালীন সরকার নিয়ে আপনাদের মেসেজগুলো সরকারের কাছে পৌঁছে দেবো। এটা সরকারই করতে পারবে। এটা নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রয়োজন। আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার দরকার আছে। সরকার সমীপেও সে প্রস্তাব দেবেন। আমি বিশ্বাস করি যে কোনো সরকার সংবেদনশীল যে কোনো উপযুক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করার মানসিকতা অবশ্যই যে কোনো দায়িত্বশীল সরকারের থাকবে নির্বাচনের স্বার্থে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জনপ্রশাসনকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে অন্তত নির্বাচনকালীন সময়ে। তারা যেন নিরপেক্ষ থেকে রাষ্ট্রের কর্মচারি হিসেবে রাষ্ট্রোর দায়িত্ব পালন করেন। আইন খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়া সমঝোতার প্রয়োজন আছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীতা আসতে পারে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে।
সিইসি আরো বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় কমিশনের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, বা আছে। নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে কমিশনকে সহায়তা করতে হবে। সেটা সরকার সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব হবে। কমিশন তার ক্ষমতা সংবিধান, আইন ও বিধি বিধানের আলোকে প্রয়োগ করবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনে নির্বাহী সকল কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন কমিশনের আদেশ ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন,আমরা আমাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করছি। কোনো অপশক্তির চাপে মাথা নত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সংসদ নির্বাচন একটি কঠিন ও ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। সকলের আন্তরিক ও সমন্বিত প্রয়াস থাকলে এমন কঠিন কর্মযজ্ঞ সাধন অসাধ্য নয়।
গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হুসেনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। এছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।