জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে সরকার। কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন- ফ্ল্যাট ও জমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য সম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ সাপেক্ষে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। চার বছর পর আবারও এই সুযোগে আসছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কালো টাকাকে অর্থনীতির মূলধারায় আনতে আগামী বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ, ব্যাংক আমানত প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের অন্য কোনো সংস্থা এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না। বর্তমানে ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরে ৩০ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে এনবিআর।
আয়কর আইন অনুযায়ী, যেকোনো করদাতা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ করের সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পান। তবে এর বাইরে প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে নির্দিষ্ট আয়তনের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত কর পরিশোধ করেও টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট যেকোনো সংস্থা চাইলে পরে ওই টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল বা হাইটেক পার্কে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক অর্থসচিব ও সাবেক কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগেও বারবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সুযোগে খুব বেশি সাড়া পাওয়া যায়নি। উল্টো এ উদ্যোগের ফলে যারা নিয়মিত কর দেন, তারা নিরুৎসাহিত হয়েছেন।
গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেন, সাধারণ করদাতাদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। আর যারা কর ফাঁকি দিয়েছে কিংবা চুরি করা অর্থ নিয়ে আসবে, তাদের যদি মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়, তাহলে নিয়মিত করদাতাদের ওপর অন্যায্য সিদ্ধান্ত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।