জুমবাংলা ডেস্ক : দেখতে অনেকটা ডাবের মতো তবে গায়ের রং সোনালি। রাস্তার ধারে একটি নয়, ৭-৮টি সোনালি রঙের বেল ঝুলছে মাগুরার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের মনির হোসেনের শখের বেলগাছে। বেলের মতো দেখতে হলেও ফলটি আসলে বেল নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন গাছটি দেখতে ভিড় করছেন দূর দুরান্তের মানুষ।
রাস্তার ধারে মাঝারি গাছে ধরে থাকা সোনালী রঙ এর ফলগুলো বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় করছেন। প্রতিটি ফলের ওজন ৪ থেকে ৫ কেজি। তবে সোনালী রঙের ফল দেখা গেলেও মুলত ফলটি সবুজ। শখের বসেই মানুষকে আকৃষ্ট করতেই সোনালী রঙ করে দিয়েছেন গাছটির মালিক মনির হোসেন।
জানা গেছে, এটি মূলত তানপুরা ফলের একটি জাত যা ডুগডুগি ফল, মহাবেল, বিলেতি বেল নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্রিসেনশিয়া কুইহাট’। এটি বিগনোনিয়াসিআই পরিবারের উদ্ভিদ। বেলের মতো দেখতে হলেও ফলটি আদৌ বেল নয়। কাঁচা ফল অনেকটা লাউয়ের মতো, আর রং গাঢ় সবুজ।ফলের খোলস শক্ত।
মাগুরা হর্টিকালচারের উদ্যান তত্ত্ববিদ মো. শাহিনুজ্জামান বলছেন, গাছটি বিভিন্ন স্থানে শোভা বর্ধনের বৃক্ষ হিসেবে ব্যাবহার হয়ে থাকে এটি খাবার উপযোগী নয়।
বৃক্ষজাতীয় এ গাছটির গড়ন অনেকটা বেলগাছের মতই। কাণ্ড ও পাতার ধরন প্রায় একই রকম। ফলটির খোসা বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পাকা ফলের খোলস বা বহিরাবরণ শক্ত হওয়ায় এটি ডুগডুগি ছাড়াও নানা শিল্পকর্মে ব্যবহার করা যায়।
সরেজমিনে তালখড়ি এলাকায় গেলে গাছটি পথের ধারে হওয়ায় গাছটি দেখতে পথচারীদের আনাগোনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। দূর দুরান্ত হতেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে এসেছেন দেখতে। কেউ সেলফি তুলছেন, কেউবা আবার হাত দিয়ে বেল ধরে তৈরি করছেন ছোটখাট ভিডিও আপলোড করছেন নিজের ফেসবুকে। গাছটি খুব বেশি বড় না হওয়ায় বেলগুলো ছুঁয়েও দেখছেন অনেকে। ভিন্ন রকম এই ফলগুলো দেখে ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।