জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল জুস জব্দ করা হয়েছে। কারখানাটিতে ফল দিয়ে জুস তৈরির কথা বলা হলেও সেখানে রং আর কেমিক্যাল মিশিয়ে তা করা হচ্ছিল।
শনিবার ফরিদপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকার একটি বাড়িতে এই কারখানার সন্ধান পায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মো. মুজিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া আয়ুর্বেদিক ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট জব্দ করা হয়েছে।
“ফলের জুস তৈরির কথা বললেও সেখানে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধু বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল এবং রং ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল সেসব জুস।
নির্বাহী হাকিম বলেন, জব্দ মালামাল পুড়িয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া কিছু মেশিনারিজ রয়েছে সেগুলোও জব্দ করা হয়েছে। কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
“কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে। এ ছাড়া অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাটির কোনো নাম নেই। বাইরে থেকে বোঝারও কোনো উপায় নেই। দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি কক্ষে বসানো হয়েছে মেশিন। সেখানেই নোংরা পরিবেশে চলছে জুস তৈরি।
প্রথমে দরজায় কড়া নাড়া হলেও কেউ খোলানি। কিছুক্ষণ পর এক নারী দরজা খুলে দেন। সেখানে কয়েকজন নারী শ্রমিকই কাজ করছিলেন। তারা বোতলে জুস ভরছেন, কেউবা প্যাকেজিং করছেন।
জুসের বোতলে বিভিন্ন নামী-দামী কোম্পানির লেভেল লাগানো হচ্ছিল। লিচু, ম্যাংগো জুস ছাড়াও চকলেট প্যাকেট করা হচ্ছিল।
কারখানাটির মালিক মো. লিটন মিয়া। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন।
নারী শ্রমিকরা জানান, তারা সকালে কাজে আসেন আর রাতে যান। তারা চলে যাওয়ার পর রাতে তৈরি করা হয় জুস, সকালে এসে তারা বোতলজাত করেন।
নির্বাহী হাকিম মুজিবুল ইসলাম জানান, শিশু খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।