জুমবাংলা ডেস্ক : ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সাগরে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে। ফলে ট্রলারগুলো সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করে ইতোমধ্যে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ২০ ভাগ ট্রলারই ঘাটে ফিরেছে এবং বাকি ট্রলারগুলো আজই ঘাটে ফিরবে বলে জানায় জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি।
যদিও কক্সবাজার থেকে গতকালই শেষবারের মত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাছ সরবরাহ করা হয়েছে। আজ বুধবার যেসব ট্রলার ঘাটে ফিরবে সেই ট্রলারগুলোর মাছ স্থানীয় বাজারেই বিক্রি হবে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ। তিনি জানান, যেহেতু বুধবার রাত ১২টার পর থেকে মাছ ধরার পাশাপাশি পরিবহন ও সংরক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। তাই গতকাল মঙ্গলবারই শেষবারের মতো কক্সবাজার থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মাছ সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু এদিন বেশিরভাগ ট্রলারই ঘাটে ফেরার কথা থাকলেও সাগরে পর্যাপ্ত মাছ ধরা না পড়ায় ট্রলারগুলো ফেরেনি।
কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারিঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, মঙ্গলবার কক্সবাজার ফিশারিঘাট থেকে মাত্র ৩০ মেট্রিন টনের মত মাছ জেলার বাইরে গেছে, যারমধ্যে অর্ধেকের কম ইলিশ। অথচ অন্য বছর বন্ধের একদিন আগে দেড়শ থেকে ২শ টন ইলিশ আসত। সাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে বুধবারের পর থেকে ২২ দিনের জন্য খা খা প্রান্তরে পরিণত হতে চলেছে শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। সেই সাথে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বরফ কলগুলোও। আর এতে সাময়িক বেকার হয়ে যাচ্ছে প্রায় ১ লাখ মৎস্যজীবী।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানান, বুধবার মধ্যরাত থেকে (১২ অক্টোবর) থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও মোহনায় মাছধরা, পরিবহন ও মজুদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।