সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : দেশে বিদ্যুতের অভাব না থাকায় এখন আর কেউ হারিকেন দেখায় না। অথচ আগে অনুষ্ঠানে গেলে মানুষ বিদ্যুতের জন্য হারিকেন দেখাতো বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দুঃস্থ্য,অসহায় ও অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাউল বিতরণের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে প্রত্যেকটা বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে এবং জাগীর ইউনিয়ন বাসির প্রত্যেকের বাড়িতেও বিদ্যুৎ আছে। আগে আপনাদের জাগীর ইউনিয়নের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম,তখন লোকেরা আমাকে হারিকেন দেখাইছে। কারন তাদের বিদ্যুৎ নাই, হারিকেন দিয়ে তারা চলে। এখন আর কেউ হারিকেন দেখায় না, এখন বিদ্যুতের অভাব নাই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রতি জোড ভ্যাকসিনের জন্য সরকারকে দশ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। সুতরাং তিনডোজ ভ্যাকসিনের জন্য আপনাদের পিছনে ত্রিশ হাজার টাকা সরকারকে খরচ করতে হয়েছে। কারন সরকার দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে। যে কোন বিপদ-আপদ এবং দুর্যোগের সময় আওয়ামী লীগে সরকার জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে যত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আছে, যতগুলো মেডিকেল হয়েছে। তার মধ্যে সব চেয়ে ভালো ও সুন্দর কোন হাসপাতাল থাকে, সেটা হলো আমাদের মানিকগঞ্জের কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
জনগণের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মা-বোন ও মরুব্বিরা শান্তিতে থাকতে চায়,ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যত চায়। প্রয়োজনে দু বেলা কম খাই, তাও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই। যাতে চাঁদাবাজি, অগ্নি সন্ত্রাস, জালাও পোড়াও না হয়। এটাই আওয়ামী লীগ সরকার বা আমরা চাই এবং সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে, কাজেই আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কাদেরকে সরকারে চাই, যারা প্রমাণ করেছে জনগণের বন্ধ এবং দেশের উন্নয়ন করেছে। না কি যারা দেশে অগ্নি সন্ত্রাস করে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারে তাদেরকে।
জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.ইসরাফিল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে জাগীয় ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে অত্র ইউনিয়নের ১৮৬৫টি পরিবারের মাঝে দুঃস্থ্য, অসহায় ও অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফ দশ কেজি করে চাউল বিরতণ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।