লাইফস্টাইল ডেস্ক : লম্বা চুলের আবেদন চিরন্তন। সবাই চান তাঁদের চুল ঝলমলে ও স্বাস্থ্যকর হোক, আর সেই সঙ্গে দ্রুত বৃদ্ধি পাক। তবে চুল লম্বা হলেও সেই সঙ্গে তা ঝলমলে, মজবুত আর মসৃণ রাখতে প্রয়োজনীয় বা সঠিক খাবার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না বা ভাবি না। এ জন্য হেয়ারকেয়ার পণ্য আর সঠিক যত্নের পাশাপাশি চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের ওপর ফোকাস করা জরুরি। যদি আপনার প্রতিদিনের নিয়মিত খাবার থেকে পুষ্টি না মেলে, তাহলে চুল তো বাড়বেই না, বরং আপনার চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে।
প্রতিদিনের ডায়েটে ওমেগা-৩–সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা উচিত। অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা-৩ ত্বক, নখ ও চুল ভালো রাখতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এ জন্য ফ্ল্যাক্সসিড অয়েল, চিয়া সিড আর ক্যানোলা তেল, আখরোট, তেলতেলে মাছ আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন। এ ছাড়া বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে, যা দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং চুলকে মজবুত করে তোলে।
১. আমলা
আমলা অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এটি চুলকে খুশকি ও অকালে পেকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। চুল বড় করতে চাইলে ভোরে উঠে আমলা খেতে হবে।
২. কারিপাতা
এটি আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ বলে চুলের ক্ষয় রোধ করতে পারে। লম্বা, সুস্থ ও মজবুত চুলের জন্য সকালে খালি পেটে তিন-চারটি কারি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৩. আমন্ড বা কাঠবাদাম
এই বাদাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন–ই আর বায়োটিনে পরিপূর্ণ। প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্টও আছে এতে। সকালে পাঁচটি আমন্ড বাদাম আর একটি আখরোট খেলে তা চুলের কিউটিকল মজবুত করতে ও ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
৪. শজনেপাতা
মরিঙ্গা বা শজনেপাতার গুঁড়া বিভিন্ন খনিজ পদার্থ, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আর ভিটামিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি খুশকি হওয়া ও চুল পড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করে। তাই দিনের খাবারের সঙ্গে মরিঙ্গা পাউডার যোগ করা যেতে পারে।
৫. চিনাবাদাম
চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম আর বায়োটিন থাকে, যা চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ঘটায়। চিনাবাদাম রাতে ভিজিয়ে রেখে পরে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে বা স্ন্যাকস হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
৬. তিল ও জিরা
এই মসলা দুটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। তিল ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের ভালো উৎস এবং জিরায় থাকা অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো চুলের ফলিকল শক্ত ও মজবুত করে এবং শুষ্কতা কমায়।
৭. ত্রিফলা
ত্রিফলায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা চুলের ধূসর হওয়া রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে ত্রিফলা চা খেতে পারেন।
এ ছাড়া আপনার মাথার ত্বকের যত্ন করুন। একটি স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্পই ভালো ও মজবুত চুলের ভিত্তি। নিজেকে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ দেওয়া স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বককে উজ্জীবিত করার একটি কৌশল। নিজেকে ভালোবাসুন এবং নিজের প্রতি আরও যত্নশীল হোন, তবেই পরিপূর্ণভাবে চুলেরও বৃদ্ধি ঘটবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।