লাইফস্টাইল ডেস্ক : গায়ের জলাপথে, ধানখেতের আইলে চলছেন আপনি আনমনে। হঠাৎ সাদা-সাদা একগুচ্ছ মুক্তোদানা আপনার চোখ ঝলসে দিতে পারে। কিন্তু একটু ভালো করে দেখুন, ওগুলো আসলে মুক্তোদানা নয়, কয়েক শ খুদে ডিমের সমাবেশ। মাছের ডিমের মতো খুদে নয়, আবার টিকটিকির ডিমের মতোও নয়।
টিকটিকির ডিমের চেয়ে ছোট এই ডিমের ব্যাস বড়জোর ২ মিলিমিটার। ডিমগুলো ঠিক আইলের ওপরে থাকে না। আইলের নিচের দিকে, পানির কাছাকাছি কাদাটে জায়গায় আটকে থাকে। ভালো করে দেখুন, সবগুলো ডিম একটার সঙ্গে আরেকটা জোড়া লাগানো।
সবগুলো মিলে একটা মুরগির ডিমের আকার নিয়েছে। তবে সচেতন মানুষ হিসেবে আপনার উচিত হবে না, ডিমগুলোতে হাত দেওয়া বা ডিমগুলো তুলে আনা। সেটা যদি আপনি করেন তাহলে জেনে রাখুন, প্রকৃতির বড় ক্ষতি আপনি করলেন। জীববৈচিত্র কিছুটা ধ্বংস হলো আপনার হাতে।
তাই হাত দিয়ে না ছুঁয়ে, কাছ থেকে ডিমের সৌন্দর্যটা উপভোগ করুন।
ওহহো, আসল কথাই বলা হয়নি! কিসের ডিম এগুলো? এগুলো আসলে হাট্টিমা টিম টিমের ডিম, যারা মাঠেই ডিম পাড়ে। হাট্টিটিমাটিম কাল্পনিক প্রাণী, কিন্তু শিং আছে, মাঠে ডিম পাড়ে, এমন প্রাণী একটাই আছে—শামুক। শামুকের ডিম যারা দেখেননি কখনো, তারা দুচোখ ভরে ছবিটা দেখে নিন।
শেষ করি শামুকের ডিম সম্পর্কে সুকুমার রায়ের লেখা দিয়ে।
মহাজাগতিক রশ্মি কী, অদৃশ্য এই রশ্মি কিভাবে আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা?
তিনি লিখেছেন, ‘যে ডিম ফুটিয়া ছানা বাহির হয়, সেই ডিমগুলি দেখিতে বড়ই অদ্ভুত। কতগুলি ছোট ছোট পোঁটলা একসঙ্গে মালার মতো বাঁধা থাকে। প্রত্যেকটি পোঁটলার মধ্যে কতগুলি ডিম। এক একটি শামুক অনেকগুলি ডিম পাড়ে—এক শ দেড় শ হইতে দশ বিশ হাজার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।