সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ, কৃষি অফিসার মো. ইমতিয়াজ আলম ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নার্গিস সুলতানার বিরুদ্ধে নিজেদের খেয়াল খুশি মত অফিস করার অভিযোগ উঠেছে। অফিসের সময়সূচী না মেনে যখন ইচ্ছে তখন অফিসে আসেন তারা। দিনের পর দিন এভাবেই চলছে উপজেলার সরকারি এই অফিসগুলো।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অফিস, কৃষি অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে অফিসারদের চেয়ারটি খালি পড়ে থাকতে দেখা যায়। আইসিটি অফিস কক্ষের দরজায় তালা ঝুলছে। কৃষি অফিসারের রুমটি পরিষ্কার করছেন পরিচ্ছন্নকর্মী বাবুল জমাদ্দার। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দরজা খোলা থাকলেও ভেতরে একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। তবে দেখা মেলেনি কর্মকর্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইসসিটি অফিসার তানিয়া আফরোজ সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন অফিস করেন। বাকি দিনগলো বন্ধ থাকে তার দপ্তর। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রতিদিন অফিসে আসলেও অধিকাংশ দিনই হাজির হন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। কৃষি অফিসার মোঃ ইমতিয়াজ আলমও মাঝে মাঝেই দেরি করে অফিসে আসেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মোঃ আসলাম উদ্দিন জানান, ম্যাডাম অন্যান্য দিন সাড়ে দশটার দিকে অফিসে আসেন। আজকেও একটু পরই এসে পড়বেন।
কৃষি অফিসার কোথায় আছেন জানতে চাইলে অফিস সহায়ক আব্দুল আলীম জানান, স্যার এখনো আসেননি। কখন আসবে জানতে চাইলে তিনি কৃষি অফিসারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে নিশ্চিত করে বলেন, স্যার সাভার থাকেন। সাভার থেকে এসে অফিস করেন, এজন্য একটু দেরি হচ্ছে। তিনি এখন রাস্তায় আছেন, শীঘ্রই এসে পড়বেন।
এসব বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও জহিরুল আলম বলেন, সরকারি অফিসে অফিস টাইম শুরু হওয়ার পরে আসার সুযোগ নেই। কেউ যদি অফিস টাইমের পরে আসে তাহলে সেটা সরকারি চাকুরির শৃঙ্খলাবিধি লঙ্ঘন। কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে তাদেরকে শোকজ করা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।