জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে সন্ত্রাসী হামলায় আহতের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে আসেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকাল পৌনে ৬টার দিকে আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন তিনি।
আহতদের দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নগরভবন সহ আশপাশে যে আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে তা দীর্ঘদিন স্থবিরতা বিরাজমান ছিল। সেখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা জনগণের সব দৈনন্দিন জরুরি সেবা কার্যক্রম পুরোদমে চালু করেছি। এটা চালু করতে গিয়ে আমাদের নানা ধরনের বাধা বিপত্তি ও বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছিল। সব কিছু অতিক্রম করে গেল দুদিন ধরে সেবা দান কার্যক্রম চলমান আছে। জনগণ খুশি মনে সেবা নিতে নগর ভবনে যাচ্ছিল। এই যে জনগণ খুশি মনে সেবা নিচ্ছিল। এই কার্যক্রমটি আমাদের যারা প্রতিপক্ষ তাদের কাছে এটি ভালো লাগেনি।’
তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে স্বৈরাচারের দোষর নগর ভবনের দুর্নীতিবাজ কতিপয়ের নেতৃত্বে বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসে। এবং তারা আমার নামে স্লোগান দিয়ে আমার হয়ে এতদিন যারা আন্দোলন করেছে, তাদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে। এরমধ্যে তিনজন মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। আট-দশজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এটি করার মধ্য দিয়ে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছে। প্রথমত তারা বিএনপির নামে ও আমার নামে স্লোগান দিয়ে হামলা করে। তারা জনগণকে দেখানোর চেষ্টা করে যে এটি বিএনপির দুগ্রপের সংঘর্ষ। দ্বিতীয়ত জনগণের সেবাকে বিঘ্ন ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বিএনপির উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে গোলাম কিবরিয়া রুবেল নামে নগর ভবনের একজন কর্মকর্তা ও আরিফুজ্জামান প্রিন্স নামে একজন কর্মচারী। বর্তমান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার গাড়িতে করে চলাফেরা করতেন এই রুবেল। নগরভবনে থাকাকালীন বিভিন্ন দুর্নীতি টেন্ডারবাজি করতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রিন্স ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করে যথাযথভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার যোগসাজশ বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।