বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : এরইমধ্যে এমন বেশ কিছু বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি চালু হয়েছে, যা অনেক পথ পাড়ি দিতে পারে। তবে, সেগুলো কতটা লোড নিতে পারে সেটা বরাবরই একটি বড় প্রশ্ন আকারে ছিল। দে খা যাচ্ছে সে জবাব দিতে এগিয়ে এসেছে কানাডীয় এক কোম্পানি।
নতুন বিদ্যুচ্চালিত স্কুল বাস বানিয়েছে ‘গ্রিনপাওয়ার’ নামে এক কোম্পানি। আর তাদের তৈরি এই ইভি স্কুল বাসের নাম ‘মেগা বিস্ট’।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বাসে রয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ৩৮৭ কিলোওয়াট ব্যাটারি ক্ষমতা সরবরাহের সুবিধা, যা দিয়ে প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে। এর পাশাপাশি, ৯০ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারবে এই বিদ্যুচ্চালিত যানটি।
গ্রিনপাওয়ার বলেছে, এই ‘লং হুইলবেস টাইপ-ডি’ মডেলে স্কুল বাস বাজারের ‘সবচেয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা ও সবচেয়ে বড় ব্যাটারি প্যাক’ রয়েছে।
কোম্পানি আরও বলেছে, এতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘লিথিয়াম আয়রন ফসফেট (এলএফপি)’ ব্যাটারি প্যাক, যা উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। পাশাপাশি, এর স্থায়িত্বও সাধারণ ইভি’র তুলনায় দীর্ঘ। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, এর প্রাথমিক খরচ অনেক বেশি।
এনগ্যাজেট বলছে, মেগা বিস্ট হল গ্রিনপাওয়ারের ২২৫ কিলোমিটার ইভি স্কুল বাসের আপডেটেড সংস্করণ, যা ঘণ্টায় ১৯৭.৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। আর এর ‘বিস্ট’ শব্দের পূর্নরূপ হল ‘ব্যাটারি ইলেকট্রিক অটোমেটিভ স্কুল ট্রান্সপোর্টেশন’। কোম্পানি বলছে, আগের সংস্করণের চেয়ে নতুন বাসে ব্যাটারি সক্ষমতা দ্বিগুণ করার পাশাপাশি অতি ঢালু রাস্তায় ওঠার বেলাতেও তুলনামূলক ভালো কাজ করে এটি।
স্কুল বাস সাধারণত দৈনিক কেবল দুইবার যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করে। ফলে প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন বাসে এত দীর্ঘ পরিসীমা রাখার কারণ কী? এনগ্যাজেট বলছে, নতুন এই সংস্করণ নকশা করা হয়েছে গ্রামীণ স্কুলগুলোর কথা বিবেচনায় রেখে, যেখানে দিনের বেলায় চার্জ দেওয়ার সুবিধা নেই।
এ ছাড়া, ‘প্রতিকূল আবহাওয়া ও যেসব স্কুলে পাঠ্য সহায়ক কার্যক্রমের জন্য ইভি বাস ব্যবহার করা হয়’ সেই জায়গাগুলোকে লক্ষ্য করেও এটি তৈরি করা হয়েছে।
১৬০ কিলোমিটার চলার ক্ষমতাওয়ালা বড় ইভি স্কুল বাসের দাম পড়তে পারে তিন থেকে চার লাখ ডলার পর্যন্ত, যা ডিজেল চালিত স্কুল বাসের দামের চার গুণ। তবে, এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক কম।
এদিকে, প্রচলিত স্কুল বাসগুলোয় কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘ক্লিন স্কুল বাস প্রোগ্রাম’ নামে প্রকল্প চালু করেছে মার্কিন সংস্থা ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)’, যা পাঁচ বছরের বেশি সময়ে ৫০০ কোটি ডলার অনুদান দেবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
এ ছাড়া, অন্যান্য ইভি বাস নির্মাতা কোম্পানির মধ্যে আছে মার্কিন কোম্পানি ‘ব্লুবার্ড’ ও মার্সিডিজের মালিক কোম্পানি ডেমিয়ের, যারা ‘টমাস-বিল্ট বাস’ ও বিভাগের অধীনে এই শ্রেণির বাস তৈরি করে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।