এ যেন লটকনের গাছ নয়, টাকার গাছ!

লটকন গাছ

জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে গাছে গাছে দেখা যায় থোকায় থোকায় লটকে থাকা সুস্বাদু লটকন। প্রতিটি ফল বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দুই টাকায়। তাইতো কৃষকরা মনে করছেন এ যেন লটকন নয়, টাকার গাছ। জেলার প্রায় সব উপজেলাতেই চাষ হচ্ছে সুস্বাদু এ লকটন ফল। উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় এ ফল চাষে দারুণ আগ্রহ এখানকার বেশিরভাগ কৃষকের মধ্যে।

লটকন গাছ

কৃষকরা জানান, বারি-১ জাতের লটকন বেশি মিষ্টি থাকায় চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। এ জাতের লটকন হেক্টর প্রতি ১৮ থেকে ২০ টন ফলন হয়ে থাকে। বাজারে দামও ভালো, তাই লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

সীমান্ত উপজেলা ঝিনাইগাতীর ডেফলাই গ্রামের কৃষক মনোহর আলী সময় সংবাদকে জানান, তার লটকন বাগানটি তিনি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন আজিমুদ্দিন পাইকারের কাছে।

এ বিষয়ে আজিমুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেও জানা গেছে, দেড় লাখ টাকায় কেনা এ বাগান থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় দুই লাখ টাকার লটকন বিক্রি করেছেন। তবে বাগানে আরও যে সংখ্যক লটকন রয়েছে তার আরও প্রায় এক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা গ্রামের করিমুল্লাহ জানান, অল্প জমিতে লটকন চাষ করে বছরে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা আয় করা যায়। তাই লটকন বাগান করতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

ঘরে টিকটিকির উপদ্রব? জেনে নিন দূর করার টিপস

শেরপুর সদর উপজেলার রঘুনাথ বাজারের ফল ব্যবসায়ী আসাদ মিয়া সময় সংবাদকে জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি লটকন খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। জেলার অন্যান্য অঞ্চলের লটকনের চেয়ে পাহাড়ি লটকন তুলনামূলক বেশী মিষ্টি। তাই এই লটকনের চাহিদাও বেশি।