লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রায় সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময় চুল পড়ার প্রাকৃতিক প্রতিকার খোঁজেন। তবে চুল পড়ার প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে মানুষ সন্দিহান। আর তা সময়মতো চুল পড়া না কমাতে পারলে মাথায় টাক পড়তে বেশিদিন সময় লাগবে না। তাই খুশকি, হেয়ার ফলকে দূর করতে হেয়ার কেয়ার রুটিনে নজর দিতে হবে।
চুল পড়া স্বাভাবিকভাবেই ঘটে এবং যে কেউ চুল হারাতে পারে। আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি জানায়, একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ স্ট্র্যান্ড হারাতে পারে। যেহেতু আপনার ১০০০০০ চুলের ফলিকল আছে, এই সংখ্যাটি কম মনে হতে পারে। সর্বোপরি চুল পড়ার পরে আবার বৃদ্ধি পায়। তবুও, কিছু লোকের চুল অনেক বেশি পড়ে, যার ক্ষতি স্থায়ী হতে পারে।
এই চুল পড়া ঠেকাতে পুরনো নিয়মেই ভরসা রাখতে পারেন। সেই তেল মালিশ দিয়েই চুল পড়া দূর করতে পারেন। শুধু সেই তেলে ছোঁয়া থাক কিছু বীজের। তবেই দ্রুত সুফল মিলবে।
হেয়ার অয়েল হোক এমনই
ঘন-কালো চুল পেতে অনেকেই নিয়মিত চুলে অয়েল মাসাজ করেন। সেক্ষেত্রে নারকেল তেল, অলিভ অয়েল,আমন্ড অয়েলের মতো নানা তেলেই ভরসা রাখেন। এবার বরং সিড অয়েল দিয়েই যত্ন নিন চুলের। তাতেই চুলের হাল ফিরবে দ্রুত।
নানা সিড অয়েলে রয়েছে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব পুষ্টিগুণেই স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। চুলের গোড়া হয় মজবুত। তাই সিড অয়েল দিয়ে স্ক্যাল্পে মাসাজ করলে চুল ঝরে পড়া বন্ধ হয়। আর টাকে নতুন চুলও গজায় অল্পদিনে। এসব উপকার পেতে তাই ঝটপট এই ম্যাজিক অয়েল বানানোর পদ্ধতি জেনে নিন।
চোখ বুলিয়ে নিন উপকরণের তালিকায়
এই তেল বানানোর জন্য লাগবে ২ টেবিল চামচ কুমড়োর বীজের তেল। সঙ্গে প্রয়োজন পড়বে ১ টেবিল চামচ তিসি বীজ এবং কালো জিরের তেল। চাইলে পাঁচ ফোঁটা মতো রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল তাতে যোগ করতে পারেন। আর লাগবে ১ চা চামচ ভিটামিন ই অয়েল। এসব উপকরণের ছোঁয়াতেই চুলে ঢেউ খেলবে।
তেল বানানো ১ মিনিটের কাজ
একটি কাচের শিশিতে একে একে কুমড়োর বীজ, তিসি বীজ ও কালো জিরের তেল মিশিয়ে নিন। সঙ্গে ভিটামিন ই অয়েল মেশাতেও ভুলবেন না। সব তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পর তাতে পাঁচ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল দিয়ে দিন। এবার সব উপাদান মেশানো হয়ে গেলে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিলেই তৈরি আপনার সিড অয়েল।
মালিশ করুন এই নিয়মে
হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা এই সিড অয়েল নিয়ে নিন। তারপর আঙুলের ডগা দিয়ে সেই তেল স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। ৫-১০ মিনিট সার্কুলার মোশনে স্ক্যাল্পে মাসাজ করতে হবে। তাতেই স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। ফলে অক্সিজেন এবং পুষ্টি পৌঁছে যাবে হেয়ার ফলিকলে। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে। বন্ধ হবে হেয়ার ফল। গজাবে নতুন চুলও।
এদিকে চুলে তেল মেখে রাখার পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেই কেল্লাফতে। সপ্তাহে ১-২ দিন এই তেল মালিশ করুন। তাতেই সুফল পাবেন হাতেনাতে।
এই তেলের গুণ অনেক
একাধিক সিড অয়েল ও এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে তৈরি এই হেয়ার অয়েল নানা পুষ্টিতে ভরপুর। এর গুণেই চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। যেমন কুমড়োর বীজের তেলে রয়েছে জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হেয়ার ফলিকলকে মজবুত করে চুল পড়া বন্ধ করে।
এদিকে তিসি বীজের তেলেও হদিশ মেলে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের। ইনফেকশন এবং প্রদাহ কমিয়ে স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প বজায় রাখতে সাহায্য করে এই তেল।
অন্যদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণে ঠাসা কালো জিরের তেল স্ক্যাল্পে খুশকির দাপট কমায়। রোজমেরি তেল স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য় করে। আর ভিটামিনের ই অয়েলের ছোঁয়ায় চুল হয় মখমলের মতো। তাই এতসব পুষ্টিকর উপাদানের মিশ্রণে তৈরি তেলের ছোঁয়ায় চুলের হাল ফিরবে এক লহমায়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।