আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের বিশেষ মেহমান হিসেবে এবার হজের সুযোগ পেয়েছেন তিউনিশিয়ান দুই নারী সংবাদকর্মী। তাদের একজন সামাহ হাসান আল-ওয়াসলানি। জীবনের প্রথম হজ ও প্রথমবার কাবা শরিফ দেখার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তিনি সৌদি সংবাদমাধ্যম এসপিআইকে।
সংবাদমাধ্যমটিকে তিনি বলেন, প্রথমবার নিজের চোখে কাবা শরিফ দেখার আনন্দ ও অনুভূতি বর্ণনা করার মতো নয়, এ আনন্দ বোঝানোর কোনও ভাষা নেই।
তিউনিশিয়ার এই নারী সাংবাদিক বলেন, প্রথমবার হজ পালনের আনন্দ বলে বোঝানোর মতো নয় এবং এর আনন্দ অবর্ণনীয়।
তিনি আরও বলেন, বাদশার মেহমান হিসেবে আসা হজযাত্রীদের রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে, প্রত্যাশার থেকেও কয়েক গুণ বেশি মেহমানদারি করা হয়েছে তাদের। তিউনিশিয়া থেকে মক্কা পৌঁছানোর পুরো পথে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমবার কাবা শরিফে উপস্থিত হওয়ার আনন্দ বর্ণনাতীত। এই অনুভূতি কখনই ভোলার মতো নয়। এখানে এসে কাবার সম্মান ও মর্যাদা আরও প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছে।
তিউনিশিয়ার আরেক টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক নাদি কেইলানিও সৌদি বাদশার মেহমান হিসেবে হজের সুযোগ পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মক্কায় উপস্থিত হওয়া ও হজ পালনের ইচ্ছা থাকে প্রত্যেকের। রাজকীয় মেহমান হিসেবে হজের জন্য নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য অনেক সম্মান ও সৌভাগ্যের। আমি এখানে প্রথমবার এসেছি। এই অনুভূতি বর্ণনা করার মতো নয়। এবং হজে এসে পাওয়া আনন্দ বলে বোঝানোর মতো নয়।
তিনি বলেন, যখন কাবার প্রতি আমার দৃষ্টি পড়লো, তখন অন্তরের গভীর থেকে এক ধরনের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি অনুভব করলাম, মনে হলো যেন আমার জীবন বদলে গেছে।
এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন আল্লাহ তায়ালার অনেক নিকটবর্তী হয়েছি। আনন্দ অশ্রু শব্দটার প্রকৃত অর্থ এখানে এসেই অনুভব করেছি। সারা জীবনের সুখের সারাংশ ছিলো এই মুহূর্তটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।