জুমবাংলা ডেস্ক : জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে ছাত্রীলীগের কমিটি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে বিশ্বিবিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্ববায়ক কাওছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ন আহ্ববায়ক তাইফুল ইসলাম পলাশ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ন্তগত ‘নূরুন্নাহার বেগম হল’ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে নাবিলা তাসনীন ঐশীকে সভাপতি ও প্রিয়া সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের মেয়াদী কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসাবে স্থান পেয়েছে সম্প্রতি র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ফিশারিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা বিনতে হোসেন (নিশি) ও তাহরিন তাসমিয়া সিদ্দিকী (হৃদি)।
গেল (২৮ আগস্ট) দুই শিক্ষার্থী ফাতেমা বিনতে হোসেন (নিশি) ও তাহরিন তাসমিয়া সিদ্দিকী (হৃদি)’র বিরুদ্ধের র্যাগিংয়ের লিখিত অভিযোগ করেন র্যাগিংয়ের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সায়লা সাদিকা। ১ মাস পেড়িয়ে গেলেও এখনো তা তদন্তাধীন রয়েছে। এর মধ্যে এই দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়া নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাদিকা সায়লা জানান, আমি তাদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। যা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুইজনকে পদ দিয়ে ‘নূরুন্নাহার বেগম হল’ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে যা খুবই দুঃজনক।
অভিযুক্ত ফাতেমা বিনতে হোসেন (নিশি) বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযোগের কোনো সতত্যা পাওয়া যায়নি। পরে আমাদের রুম আদালা করে দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।
তাহরিন তাসমিয়া সিদ্দিকী (হৃদি) বলেন, সেই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। নিশি আমার বান্ধবী হওয়ায় সেখানে আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্ববায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন এ বিষয়য়ে বলেন, ‘নূরুন্নাহার বেগম হল’ ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে। নিশি ও হৃদির বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। যদি অভিযোগের কোনো সতত্যা পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং কমিটির সদস্য মো. ওলিউল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা তদন্ত করে শৃঙ্খলা কমিটির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে এ ঘটনায় তাদের কিছুটা সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তরা সবাই আমাদের শিক্ষার্থী। এখন কে কতটা দোষ করেছে এর বিচার করবে শৃঙ্খলা কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির আহ্ববায়ক ফিশারিজ বিভাগির সহাকারী অধ্যাপক মৌসুমী আক্তার বলেন, তদন্ত শেষে একমাস আগেই প্রতিবেদন শৃঙ্খলা কমিটির কাছে জমা দিয়েছি। এখন যা করার শৃঙ্খলা কমিটি করবে। এ বিষয়ে এর বাইরে আর কিছু জানেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।