লাইফস্টাইল ডেস্ক : গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, যাদের মশা বেশি কামড়ায় তাদের ত্বকে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যাসিড ক্ষরিত হয়। এই অ্যাসিডই আকৃষ্ট করে মশাদের। অথচ বিশেষ এই অ্যাসিড আবার ওই ব্যক্তির ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
একসঙ্গে কয়েকজন বসে আছেন বা অফিসে কাজ করছেন, এরমধ্যে শুরু হলো মশার আক্রমণ। সবাইকে কামড়ালেও হঠাৎ খেয়াল করলেন, কোনো একজনকে অতটা অতিষ্ঠ করছে না। সবাইকে জ্বালিয়ে মারলেও ওই ব্যক্তিকে মশা বিরক্ত করছে না, ভেবে দেখেছেন?
এ বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরে চলছে গবেষণা। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে চমকপ্রদ তথ্য। গবেষণাটি বলছে, কিছু মানুষের চামড়ায় এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে, যেগুলো মশাকে আকৃষ্ট করে।
গবেষণাটি চালিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুজীববিদ্যার গবেষক লেসলি ভসহলের ও তার দল।
সেল ম্যাগাজিনে তাদের সেই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়। গবেষকরা ৬৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর একটি পরীক্ষা চালান। নানা সাজে স্বেচ্ছাসেবকরা ডেঙ্গুবাহী মশা এডিস ইজিপ্টাইর মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রতিবারই বিশেষ কয়েকজনের প্রতি মশাদের আগ্রহ ছিল বেশি, সেটা অন্যদের তুলনা প্রায় এক শ’ গুণ পর্যন্ত।
গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, যাদের মশা বেশি কামড়ায় তাদের ত্বকে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যাসিড ক্ষরিত হয়। এই অ্যাসিডই আকৃষ্ট করে মশাদের। অথচ বিশেষ এই অ্যাসিড আবার ওই ব্যক্তির ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অ্যাসিড ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকভেদে এই অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ ভিন্ন। তাই যাদের শরীরে এই অ্যাসিড ক্ষরণের হার বেশি, মশা তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় নেই। ফলে সারা জীবন মশার যন্ত্রণা মেনে নিয়েই তাদের বেঁচে থাকতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।