জুমবাংলা ডেস্ক : বিগত দিনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারাই এসেছেন তারাই দেশটাকে তাদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করে লুটেপুটে খেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ বিন সাঈদী।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা সদরের টাউন ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পিরোজপুর জেলা শাখা দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। একটা বৈষম্যহীন ন্যায় ইনসাফ নীতি-নৈতিকতার সম্পন্ন একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য। আমরা দীর্ঘ ৫৩ বছর দেখেছি যে ন্যায় ইনসাফ তো বহুদূরের কথা বরং শোষণ বঞ্চনায় ভরপুর একটি রাষ্ট্র আমাদেরকে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা ছিলেন তারা এই জাতিকে দিয়েছেন। তার ফলশ্রুতিতে আমরা দেখেছি, মানুষ দুর্ভিক্ষে না খেয়ে থেকেছে। কিন্তু শেখ সাহেবের সন্তানেরা সোনার মুকুট পড়ে বিয়ে শাদী করেছেন। এটাও দেখেছি ব্যাংক ডাকাতি করেছে, ব্যাংক লুটপাট করেছে, পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যে যেভাবে এসেছেন তারাই দেশটাকে তাদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করে লুটেপুটে খেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের সম্পত্তি, দেশের অর্থ সব বিদেশে পাচার করেছে। আমরা দেখেছি বিদেশে বেগম পাড়া হতে। এর একটি কারণ ছিল তা হলো নীতি-নৈতিকতার সমৃদ্ধ রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশে আমরা পাইনি। নীতি-নৈতিকতার কথা যারা বলেন নীতি নৈতিকতার জন্য যারা আন্দোলন করেন জনগণ এখন তাদের পরীক্ষা করেননি।
মাসুদ সাঈদী বলেন, এই ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান যে গণবিপ্লব সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ এই গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফসল নয়। এই গণঅভ্যুত্থানে বিগত ১৭টি বছর বাংলার মেহনতি, শ্রমিক, জনতা, ছাত্র-জনতা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সংগ্রামের ফসল। যদিও আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ৩৬ দিনে পূর্ণতা পেয়েছে। কিন্তু আন্দোলন শুধুমাত্র ছাত্রজনতা নয়, আন্দোলন ছিল গোটা দেশবাসীর। সেইসঙ্গে এই আন্দোলনে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা। যদি ৫ আগস্টের আন্দোলনে আমাদের শ্রমিক ভাইদের ব্যাপক অংশগ্রহণ না থাকতো তাহলে স্বাধীনতা আমরা পেতাম নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ তবে আরও হয়ত সময় লেগে যেত। আমরা এই বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখতে চাই।
সম্মেলনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জেলা সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা হারুনুর রশিদ খান, প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক মো. কবির আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।