জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে ৯০ লাখের বেশি টিআইএনধারী আছেন। ৪৩টি ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র লাগে। আগে টিআইএন থাকলেই হতো। এখন টিআইএন থাকলেই করযোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক আয়কর রিটার্ন দিতে হবে। তবে দুয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে। তাই কাদের আয়কর রিটার্ন দিতে হবে এবং দিতে হবে না সেটি জেনে নেওয়া জরুরি।
যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে—
১. কোনো ব্যক্তি করদাতার আয় যদি বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়;
২. তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা, নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ টাকার বেশি হয়;
৩. প্রতিবন্ধী করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয়।
৪. গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৫ লাখ টাকার বেশি হয়।
যাদের আবশ্যিকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে:
১. করদাতার মোট আয় করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে
২. সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন বছরের মধ্যে কোনো বৎসর তার কর নির্ধারণ করা হয়
৩. কোনো ফার্ম, কোনো ব্যক্তিসংঘ ও কোনো ফার্মের অংশীদার হলে
৪. কোম্পানির কোনো শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার কর্মচারী হলে
৫. গণকর্মচারী হলে
৬. কোনো ব্যবসায় নির্বাহী বা ব্যবস্থাপকের পদধারী কোনো কর্মচারী
৭. কেবল দাতব্য উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যতীত, সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে এরূপ কোনো আয়প্রাপ্ত হন বা অংশ ৬-এর প্রথম অধ্যায়ের অধীন কর অব্যাহতি বা হ্রাসকৃত কর হার সুবিধাপ্রাপ্ত।
৮. ধারা ২৬১ অনুসারে করদাতা হিসেবে নিবন্ধনযোগ্য কোনো ব্যক্তি বা
৯. ধারা ২৬৪ অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এমন ৪৩টি ক্ষেত্রে।
যাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়:
ধারা ১৬৬ (২) অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়, যথা-
(ক) কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
(অ) যা বাংলা ভাষায় পাঠদানকারী প্রাথমিক বা প্রাক্-প্রাথমিক বিদ্যালয় বা সরকারি মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় বা যা মাসিক পেমেন্ট আদেশভুক্ত (এমপিও) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং
ক) যার ইংরেজি ভার্সন কারিকুলাম নেই
(খ) সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
(গ) বাংলাদেশ ব্যাংক
(ঘ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ
(ঙ) সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যার সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত তহবিল ও সুদ আয় ছাড়া অন্য আয় নেই
(চ) আপাতত বলবৎ কোনো আইন দ্বারা বা আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত যেকোনো সত্তা, যাদের সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত তহবিল ছাড়া অন্য কোনো আয় নেই
(ছ) সরকারি ভবিষ্য তহবিল ও সরকারি পেনশন তহবিল
(জ) কোনো অ-নিবাসী স্বাভাবিক ব্যক্তি, যার বাংলাদেশে কোনো নির্দিষ্ট ভিত্তি নেই বা
(ঝ) বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, রিটার্ন দাখিল করা হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।