জুমবাংলা ডেস্ক : ডেঙ্গুর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে লাঞ্ছিত হয়েছেন তিন সাংবাদিক। এ সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) যশোর প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাব যশোরের সহ-সভাপতি ওহাবুজ্জামান ঝন্টু, ৭১ টিভির যশোর প্রতিনিধি এসএম ফরহাদ ও ক্যামেরাপারসন শাহারুল ইসলাম ফারদিন।
এ সময় তত্ত্বাবধায়ক একাত্তর টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন শাহারুল ইসলাম ফারদিনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা।
লাঞ্ছিত হওয়া সাংবাদিক এসএম ফরহাদ জানান, ডেঙ্গু রোগী সংক্রান্ত তথ্যের জন্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে ফোন করলে তিনি সরাসরি তার অফিসে যেতে বলেন। তার অফিসে যাওয়ার পর তিনি ৭১ টিভির ক্যামেরাপারসনকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ সময় তিনি ক্যামেরা পারসনকে ধাক্কা দেন। এরপর কয়েকজন চিকিৎসক ও কর্মচারীকে ডেকে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক ক্ষুব্ধ ছিলেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা আমার অনুমতি বাদে আমার কক্ষের ফুটেজ ও বক্তব্য রেকর্ড করেছে, যা অন্যায়। সেই কাজটি কেন করেছে সেই বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চেয়েছি। এর বাইরে কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে যশোর সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমি শুনেছি হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিকদের চাহিদা মোতাবেক যতদূর সম্ভব তথ্য দেওয়া উচিত। সংবাদ কর্মীদের প্রতি অনুরোধ সরকারি অফিসে গিয়ে শিষ্টাচার মেনে চলা। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকা উচিত নয়।
এদিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় যশোরের সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রেস ক্লাব যশোর সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।