জুমবাংলা ডেস্ক : রোজার আগে বাজার সামলাতে ও ভোক্তাদের স্বস্তি নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে বাণিজ্য, খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছেন। বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর নানা প্রসঙ্গে নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদসহ তিন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একযোগে বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে চাচ্ছি। ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে কারসাজি ঠেকাতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাজার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আহসানুল ইসলাম বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা মানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না। বাজার ব্যবস্থাপনা হচ্ছে যৌক্তিক মূল্যে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো খাদ্যের উৎপাদন, সংগ্রহ এবং মজুত ব্যবস্থাটাকে ঠিক রাখা। তারা সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রণ করবে।
কৃষিমন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করায় কৃষি মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাঝে মাঝে খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি করে। এবার বাজার মনিটরিং করে এ সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে। এখন থেকে কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এতে ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে সবাই স্বস্তিতে থাকবে।
আর কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। বস্তার গায়ে মিলগেট চালের মূল্য লেখা থাকলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে চালের দাম নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযানের ফলে মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে। খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত,স্থানান্তর,পরিবহন,সরবরাহ, বিতরণ ও বিপনন(ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ ) আইন ২০২৩ এর বিধি প্রনয়নের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে। এই আইন হলে ছাটাই করে চালের পুষ্টিকর অংশ বাদ দেয়া বন্ধ হবে। পাশাপাশি বস্তার গায়ে মিলগেটের দাম,ধানের জাত এবং উৎপাদন তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
আইন প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপনন আইন-২০১৮ এর আন্ডারে কৃষি বিপননের বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী সকল কৃষি উৎপাদিত পণ্যের এলাকাভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ থেকে তথ্য দেয়া হবে। এতে করে দামের ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্যক ধারণা পাবে এবং কারসাজি থামাতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।