সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ (নাশকতা) করা মামলায় জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে ব্যপক পুলিশ নিরাপত্তায় আসামী রাজাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আইনজীবীদের প্রাথমিক শুনানি শেষে আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী। তবে এ সময় আসামী আব্দুর রাজ্জাক রাজার পক্ষে আদালতে কোন আইনজীবী শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না।
এরপর আসামী রাজাকে জেল হাজতে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আদালত চত্বরের ভেতর পুলিশের প্রিজনার ভ্যানকে লক্ষ করে ডিম,জুতা ও টমেটা নিক্ষেপ করে। এ সময় ছাত্ররা রাজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশের প্রিজনার ভ্যান গতিরোধ করে দাঁড়িয়ে নানা ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় প্রায় এক ঘন্টা পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে পুলিশের আশ^াস এবং অনুরোধে ছাত্ররা প্রিজনার ভ্যান ছেড়ে দেন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত হাসনা হেনা ও আশরাফুল ইসলাম রাজু অভিযোগ করে বলেন, যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই রাজা গত ১৮ জুলাই এবং ৪ আগষ্ট তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের উপর ধারালো অস্ক্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে আমরা সহ অনেকে মারাত্বক জখম হয়।
তাঁরা বলেন, আজকে রাজাকে পুলিশ পাহারায় ব্যপক নিরাপত্তায় এক ধরনের জামাই আদরে আদালতে তোলা হয়েছে। প্রিজনার ভ্যান থেকে রাজা আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা তাঁর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান, আসামীকে আদালতে তোলা হলে তাঁর পক্ষের কোন আইনজীবী না থাকায় বাদি পক্ষের আইনজীবীদের প্রাথমিক শুনানী শেষে রাজাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তানভীর হোসেন বলেন, গত ১৮ জুলাই এবং ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর হামলা এবং মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ (নাশকতা) করা মামলা থাকায় গতকাল বুধবার রাত ১১ টায় ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে থেকে গোপন সংবাদে আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়। বৃহস্পতিবার রাজাকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। আগামী পরবর্তী তারিখে আসামীর রাজার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, দুপুরের পর আসামীকে ব্যপক নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাঁকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।