জুমবাংলা ডেস্ক : পেয়ারা আর আমড়ার জন্য ঝালকাঠির খ্যাতি দেশজুড়ে। অগণিত কৃষক পরিবারের প্রধান আয়ের উৎসও এ দুই ফল। মৌসুমের শুরুতে গাছে গাছে এখন ফুল-কুঁড়িতে ছেয়ে গেলেও তীব্র খরায় তা ঝরে পড়ছে। মাঠে মাঠে পুড়ছে সবজি আর বোরো ধান। এতে তপ্ত রোদ্দুরে যেন অঙ্গার হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন!
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে থোকায় থোকায় পেয়ারা ও আমরার ফুল-কুঁড়ি। কেবল পেয়ারা আর আমড়াই নয়, সব ধরনের মৌসুমি ফল ছাড়াও তীব্র খরায় পুড়ছে মিষ্টি কুমড়া, ঢ্যাঁড়শ, বেগুন, পেঁপে, কাঁচকলার বাগান। এপ্রিলের শুরু থেকেই দেখা নেই বৃষ্টির। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বোরো আবাদ।
সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের বেশাইনখান গ্রামের বোরো চাষি এনতাজ উদ্দিন বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বোরোর আবাদ করেছি; কিন্তু মাঠেই পুড়ে গেছে ধান। ‘কী করে ঋণের টাকা শোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।’
একই অবস্থা পোষণ্ডা গ্রামের সবজি চাষি হরবিলাশ মণ্ডলের। তিনি বলেন, লেবু, কাঁচাকলা, মরিচসহ তরিতরকারি সবই এখন শুকিয়ে যাচ্ছে। সার-ওষুধেও কাজ হচ্ছে না।
চাষিরা জানান, কান্দি পদ্ধতিতে এ পেয়ারা-আমড়ার চাষ হয়। এ সময় বৃষ্টিতে কান্তির নিচে পানি জমে থাকে। তবে তীব্র এ খরায় কান্দিগুলো শুকিয়ে গেছে। ফলে সেচ দেয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝরে পড়ছে গাছের ফল ও ফুল।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মো. রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন, ক্ষেতে আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিকেলে সেচ এবং স্প্রে দেয়াসহ কৃষকদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ঝালকাঠিতে এ বছর ৫৬২ হেক্টর জমিতে পেয়ারা, ৫০৮ হেক্টরে আমড়া, ১৩ হাজার ৮৫ হেক্টরে বোরো এবং আরও তিন হাজার ৫৫২ হেক্টর জমিতে খরিপ-২ মৌসুমের সবজি আবাদ হয়েছে। জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ কৃষি ও ফলমূল চাষে জীবিকা নির্বাহ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।