জুমবাংলা ডেস্ক : আর মাত্র কয়েকদিন পরই পৌষ মাস শুরু হবে। তার আগে দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের কারণে উত্তরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে গ্রামগ্রঞ্জে বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের অবস্থা কাহিল। ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা আরও করুণ। সবচেয়ে বিপদে আছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
এদিকে ধীরে ধীরে উত্তরের জনপদের মতো হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় শীত ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। শীত নেমেছে রাজধানীতেও। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় অবশ্য বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। আর বর্ধিত ৫ দিনেও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। কনকনে বাতাসে কাবু সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে আছে পুরো জনপদ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত এবং ঘন কুয়াশা থাকায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়ার এই বৈরী অবস্থার ভেতরে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ঘরের বাইরে আসতে হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষকে। হাটবাজারের শ্রমিক ও কৃষি শ্রমিকদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। সারাদেশের হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।