জুমবাংলা ডেস্ক : জ্যৈষ্ঠের তাপে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চুয়াডাঙ্গার বাজারেও আম, লিচুসহ হরেক রকমের মৌসুমি ফলের দেখা মিলছে। সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে সুস্বাদু তালশাঁসও। ফরমালিন ও ভেজালমুক্ত হওয়ায় গরমে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের অলিগলিসহ উপজেলাগুলোর বিভিন্ন বাজার এলাকার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস। একটি শাঁস আকারভেদে ৪-৫ টাকা এবং একটি তাল ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। গরমে ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ হয়ে গেছে।
বিক্রেতাদের দাবি, আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্য ফলের ক্ষেত্রে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালশাঁসে এসবের প্রয়োজন হয় না। তাই ভেজালমুক্ত তালশাঁসের কদর বেশি। চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের কোর্ট মোড়ে তালশাঁস বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ী আলী কদর।
তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে গাছমালিকদের কাছ থেকে তাল সংগ্রহ করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরসহ গ্রাম এলাকার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, প্রতিবছরই এ সময়ে আমরা তালশাঁস বিক্রি করি। গরমের এ দিনে বিক্রিও হয় ভালো। দাম ভালো পাওয়া যায়।
আরেক তাল ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, একটি গাছে ৫০০-৭০০টি তাল পাওয়া যায়। তালগাছ থেকে ফল কেটে আনা কষ্টকর বিষয়। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তালশাঁস বিক্রি শুরু হয়েছে। আরও কিছুদিন চলবে।
জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারে তালশাঁস কিনতে আসা রকিবুল ইসলাম বলেন, গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালশাঁস অনেক উপকারী। এর অনেক গুণাগুণ রয়েছে। খেতেও সুস্বাদু। এক চিকিৎসক বলেন, তালশাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমের দিনে তালশাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে।
কাতার বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার হচ্ছে ইকুয়েডর, সুযোগ পাচ্ছে চিলি
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, এ বছর তালের ভালো ফলন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের দুধারে ও খালের পাড়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে তালের চারা রোপণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।