জুমবাংলা ডেস্ক : মোংলার সুন্দরবনে মাছ ধরার সময় বাঘের কামড় ও থাবা খেয়েও প্রাণে বেঁচে গেছেন জেলে আবু সালেহ আকন (৪৫)। বাঘের আক্রমণে শরীরে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালেহ। এদিকে বাঘের আক্রমণের মুখ থেকে জীবন নিয়ে ফিরে আসা ওই জেলেকে দেখতে হাসপাতালে উৎসুক মানুষের ভিড়ে অনেকটা বেকায়দায় কর্তৃপক্ষ।
বাঘের আক্রমণের শিকার জেলে আবু সালেহ আকন ও প্রত্যক্ষদর্শী সঙ্গী মো. হানিফ জানান, রবিবার সকাল ৭টার দিকে মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজিকরখণ্ড গ্রামের জেলে আবু সালেহ আকন ও মো. হানিফ সুন্দরবনের জিউধরা এলাকার শুয়ারমারা খালে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন।
এ সময় হঠাৎ একটি বাঘ আক্রমণ করে সালেহর ওপর। পেছন থেকে বাঘটি সালেহর ডান হাতে একটি কামড় ও বাঁ হাতে, বাঁ কাধেঁ ও পিঠে ছয়টি থাবা দিয়ে এবং আঁচড়ে জখম করে। বাঘের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সালেহ খালে লাফিয়ে পড়ে চিৎকার শুরু করলে বাঘটি বনের গহিনে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, পরে ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকা সালেহর সঙ্গী হানিফ ও সালেহর চাচাতো ভাই আসাদুল সরদার তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন স্বর্ণ বলেন, সালেহর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সাতটি কামড়, থাবা ও আঁচড়ের ক্ষত রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার (সংরক্ষিত) মাসুমা বেগম বলেন, সালেহ একজন পেশাদার জেলে, তাঁর বাবাও জেলে ছিলেন। বন বিভাগের কাছ থেকে পাস-পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরতে গেলে বাঘের আক্রমণের শিকার হন সালেহ। সালেহ খুব সাহসী হওয়ায় বাঘের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে প্রাণে বেঁচে এসেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।