জুমবাংলা ডেস্ক : সুন্দরনের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের চত্বরে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলার এক সপ্তাহের মধ্যে বাগেরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা সোনাতলা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখতে পাওয়া গেছে। রবিবার বিকেলে ও সোমবার সকালে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের অসংখ্য পায়ের ছাপ দেখতে পান গ্রামবসী। এতে গ্রামের মানুষের মাঝে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এই অবস্থায় গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে মাইকে আহবান জানানো হয়েছে। গ্রাম পাহারা বসিয়েছে ওয়ইল্ড টিম, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যরা। বাঘটি শনিবার (১০ নভেম্বর) রাতে গ্রামে ঢুকে আবার বনে ফিরে গেছে বলে ধারণা করছেন বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। এর আগেও চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি রাতে এই একই গ্রামে এসেছিল আরো একটি বাঘ।
সোনাতলা মডেল বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ও ভিটিআরটি সদস্য মো. মাহাবুব হাসান জানান, রবিবার বিকেলে তিনি প্রথমে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর পাড়ে মজিবর হাওলাদারের বসতঘরের পেছনে বাঘের পায়ের তাজা চাপ দেখতে পান। এসময় তিনি মাটি খুড়ে বাঘের পায়ের একটি ছাপ সংগ্রহ করেন। মাইকে বিষয়টি প্রচার করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বেড়িবাঁধের বাইরে সুন্দরবন সংলগ্ন ভোলা নদীর চরে বসবাসকারী ওহিদুল মোল্লা, ইউনুচ মোল্লা, শেফালী বেগম, ময়না বেগমসহ অনেকেই জানান, তাদের বাড়ি ঘরের আশপাশেই বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখতে পেয়েছেন। বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখতে পাওয়ার পর সোনাতলা গ্রামের সবাই আতঙ্কে রয়েছেন।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জ অফিস চত্তরে একটি বাঘ এসে ৬ ঘণ্টা অবস্থান করে। রবিবার বিকেলে ও সোমবার সকালে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা সোনাতলা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখতে পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে মাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে। গ্রাম পাহারায় দিতে বন সুরক্ষায় নিয়োজিত ওয়াইল্ড টিম, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোলা ফরেস্ট ক্যাম্পের বনরক্ষীদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি শনিবার (১০ নভেম্বর) রাতে গ্রামে ঢুকে আবার বনে ফিরে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।