স্পোর্টস ডেস্ক : ‘স্পিড স্টার’ নাহিদ রানা ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পাননি। নাহিদ প্রথমবারের মতো টাইগার ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন। নাসুম ফিরেছেন মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর। ভিসা পাননি বলে দুজনকে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গত দুই দিন দুই ধাপে শারজাহ গেছে। মরুশহর শারজাহতে নাজমুল বাহিনী ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে।
ম্যাচ তিনটি হবে যথাক্রমে ৬, ৯ ও ১১ নভেম্বর। এখনো নিশ্চিত নয় নাহিদ ও নাসুমের ভিসা পাওয়ার বিষয়টি। যদি না পান, তাহলে কি ১৩ সদস্যের স্কোয়াড নিয়েই খেলবে টাইগাররা? আগামীকাল নাজমুল বাহিনীর আফগানিস্তান মিশন শুরু হচ্ছে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে নাজমুলদের কঠিন লড়াই করতে হবে রশিদ খানের লেগ স্পিন, মুজিব-উর রেহমানের রহস্যময় অফ স্পিন, ফারুক হক ফারুকীদের সুুইং ও গতির বিরুদ্ধে। যদিও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে পরিসংখ্যানে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। ১৬ ওয়ানডের ১০টিতে জিতেছে এবং দুই দলের সর্বশেষ মুখোমুখির ওয়ানডেতেও হেসেছে টাইগাররা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ধর্মশালায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জিতেছিল। দুই দল সর্বশেষ যে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল গত বছর, সিরিজটি জিতেছিল আফগানিস্তান। অবশ্য সিরিজের শেষ ম্যাচে হেসেছিল টাইগাররা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছেন নাজমুলরা। মার্চে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল। প্রথম দুটি হেরে শেষটি জিতেছিলেন নাজমুলরা। চলতি বছর টেস্ট সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। পাকিস্তান ছাড়া বাকি তিন সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ২-০ ব্যবধানে।
পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছেন নাজমুলরা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলে নাজমুল বাহিনী চেন্নাইয়ে ২৮০ রানে হারের পর কানপুরে হারে ৭ উইকেটে। ভারত সফরে চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ঘরের মাটিতে মুখোমুখি হয় অনভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এবারও লড়াই করতে পারেনি। হেরে যায় অসহায়ভাবে। পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা টাইগাররা টানা দুই টেস্ট সিরিজ হেরে মরুশহর শারজাহতে উড়ে যায়। যদিও চট্টগ্রাম টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হঠাৎ টাইগারদের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। তার এই ইঙ্গিতে নড়ে চড়ে বসেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
বিসিবি সভাপতি চট্টগ্রামে কথা বলেন নাজমুল ও মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে। দুজনের সঙ্গে কথা বলার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করে নির্বাচক প্যানেল। দলনায়ক হিসেবে নাজমুলকেই রাখা হয়। তার সহকারী রাখা হয় মিরাজকে।
শারজাহতে এবারই প্রথম খেলছে না বাংলাদেশ। এর আগে আরও ৫টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-২০ খেলেছে এখানে। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ ১৯৯৫ সালে। প্রথম খেলে ১৯৯০ সালে অস্ট্রাল-এশিয়া কাপে। ওই আসরে দুটি ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৬১ রান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ৭ উইকেটে। ১৯৯৫ সালে এশিয়া কাপে হেরেছিল শ্রীলঙ্কার কাছে ১০৭ রানে, ভারতের কাছে ৯ উইকেটে ও পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটে। ২৯ বছর পর পুনরায় খেলবে শারজাহতে। অবশ্য এখানে টাইগাররা টি-২০ ম্যাচ খেলেছে ৩টি। ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ রানে এবং শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল ৫ উইকেটে। ২০২২ সালে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল ৭ উইকেটে। পরিচিত শারজাহতে এবার সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে খেলবেন নাজমুলরা। কিন্তু কতটা পারবেন সময় বলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।