বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : এই প্রযুক্তি-কেন্দ্রীক মহাবিশ্বে, কনটেন্ট এখন একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে ভিন্ন ধারার, আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ কনটেন্টের অনুসন্ধান পাওয়া কঠিন। সোশ্যাল মিডিয়ার বিশাল বিস্তার এবং সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এই ডিজিটাল যুগে কনটেন্ট তৈরির গুরুত্বকে আরও সুদৃঢ় করেছে। মানুষ এবং বিভিন্ন সংগঠন কনটেন্ট তৈরির বিস্তৃত ক্ষেত্রে প্রবেশ করছে; যেমন- কোম্পানি, ব্র্যান্ড বা অন্যান্য সংস্থাগুলোকে যে বার্তা দিতে চায়, সেটি প্রতিফলিত হয় তাদের কনটেন্ট কীভাবে সাজানো হয়েছে সেটির উপর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সব বিনোদন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহারকারীদের সেরা বা ভিন্ন মাত্রায় কনটেন্ট তৈরি করার প্রবণতা কতখানি আছে সেটিও ভাবার বিষয়। সকল কনটেন্ট কৌতুকপূর্ণ বা একটি নির্দিষ্ট লাইফস্টাইল কেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়। এমন কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি পর্যায়ে অনীহা তৈরি হতে পারে।কিন্তু আপনি যদি একটি ব্যবসায়িক সুবিধা ভেবে কনটেন্ট তৈরি করেন, তাহলে দেখা যাবে সেটি আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম অনুঘটক হয়ে পড়েছে। কেবল সমসাময়িক হিসেবে প্রমান করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে প্রোফাইল রাখার দিন অনেক আগেই চলে গেছে। সময় বদলেছে। আর সেই সাথে আপনার লক্ষ্য করা শ্রোতাদের সংখ্যাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে।
একটি সত্তা টিকিয়ে রাখতে বহুমুখী কনটেন্ট তৈরি সুবিধা এনে দেয়। ধরুন, একটি ছোট কিংবা মাঝারি মানের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কথা। এর টার্গেট অডিয়েন্সকে আকর্ষণ করার জন্য সুন্দর ও সঠিক মিউজিকসহ একটি সাজানো বাড়ির ছোট টিকটক ভিডিও খুবই কার্যকর এবং একইসাথে বিনোদনমূলক হয়ে উঠতে পারে। এখনকার দিনে, গ্রাহকরা এমন কোনো পণ্য বা পরিষেবা প্রত্যাশা করে না যা অনেকটা ঝাপসা মনে হয়। পক্ষান্তরে,সঠিক তথ্যসমন্বিত হলে সেটিই বরং শ্রোতারা বেশি পছন্দ করেন। যদি এই আদর্শের উপর ভিত্তি করে কনটেন্ট নির্মাণ হয়, তাহলে কনটেন্টের গভীরতাও প্রকাশ পায়।
একইভাবে, টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা কনটেন্ট তৈরি করে নিরাপত্তা বজায় রেখে বাড়িও কিনতে পারেন। প্রয়োজন অনুযায়ী বা তথ্যবহুল কনটেন্ট তৈরি করেই নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করছে। উপরোন্তু, ওয়েবসাইট ট্রাফিক, ব্র্যান্ড স্বীকৃতি, বিক্রয় এবং কনভার্সন এর মতো সুবিধাগুলো এ ধরনের কনটেন্টের ক্ষেত্রে সহজেই পাওয়া যায়।
বর্তমানে, জেনারেশন-জেড বা নব্বই দশকের পরিপ্রেক্ষিতে ভেবে দেখলে দেখা যাবে যে, তারা প্রথাগত মাধ্যমের পরিবর্তে ডিভাইসের কাছেই বেশি আত্মসমর্পণ করে। অবসর সময় থেকে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্র, সবকিছুই প্রযুক্তির দিয়ে আবদ্ধ বলে মনে হয়। ডিজিটাল ক্ষেত্রে প্রবেশ না করে এগিয়ে যাওয়া এখন একদমই অসম্ভব।
কিন্তু কীভাবে মানুষ নির্ধারণ করবে যে কোন ক্রিয়েটর এবং ব্র্যান্ড তাদের জন্য কতটুকু যোগ্য? এই পার্থক্য করার একমাত্র উপায় হলো কনটেন্ট তৈরি; যা অনেকটাই সহজ যদি পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, টিকটক প্ল্যাটফর্মটিকে আরও স্থানীয়করণের জন্য টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন বাংলায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং গাইডলাইন অনুযায়ী আকর্ষণীয় কনটেন্টও তৈরি করা যাবে। এছাড়াও, টিকটক সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের সেফটি অ্যাম্বাসেডরদেরকেও প্রকাশ করেছে এবং প্ল্যাটফর্মটির নিরাপত্তা উদ্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়েছে। সামাজিক বিধিনিষেধের কারণে যখন নিজের অনুভূতি আবিষ্কার এবং আবেগ প্রকাশ করার বিষয়টি চাপা পড়ে যায, তখন নিজেকে তুলে ধরার জন্য কনটেন্ট তৈরি একটা অনন্য সুযোগ হয়ে উঠে।
কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে কিছুটা হলেও তরুণরা নতুন করে জেগে উঠার সুযোগ পাচ্ছে। সেরা কনটেন্ট তৈরি নির্ভর করে একজন ক্রিয়েটর তার কনটেন্টের সঙ্গে কতটা সংযুক্ত থাকতে পারেন সেটির ওপর। ফলে, ক্রমাগত উন্নতির আকাঙ্ক্ষা তাকে সর্বোত্তম কনটেন্ট তৈরির দিকে ধাবিত করে।
এই বিজ্ঞাপনেই বদলে গিয়েছিল ঐশ্বর্যের জীবন, দেখুন সেই বিজ্ঞাপনটি
কনটেন্ট তৈরি কখনো থেমে থাকেনি। বরং টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের তাত্পর্যকে আরও দৃঢ় করেছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো নিজের একটি পরিচয় এবং নিজের জন্য একটি নাম প্রতিষ্ঠা করার অনেক উপায় সৃষ্টি করছে। একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বড় পরিসরে শ্রোতার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা হোক কিংবা একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিল্পী বিশ্বের কাছে তার কাজ প্রচারের চেষ্টা হোক – যেকোন প্রচেষ্টায় সঠিক কনটেন্ট অবদান রাখে। তাই এটি বলা যায় যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জাদুতে আপনার কনটেন্ট তৈরির এই বিষয়টিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।