আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় শতকোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন টিকটকে। চীনের ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে ছোট আকারের মজার ভিডিও পোস্ট করে তারকা বনে গেছেন অনেকে। তবে সম্প্রতি টিকটক বিষয়ে পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া বিনোরিয়া একটি ফতোয়া জারি করেছে। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, টিকটক ব্যবহার অবৈধ ও হারাম। পাশাপাশি বর্তমান যুগের ‘সবচেয়ে বড় প্রলোভন’ এই টিকটক বলেও দাবি করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে এই খবর।
এই ফতোয়া দেয়ার পেছনে অবশ্য ১০টি কারণ উল্লেখ করেছে ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে অ্যাপে ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শন করা, নারীদের অশ্লীল ভিডিও তৈরি ও প্রচার, নারী ও পুরুষেরা নাচ ও গানকে দায়ী করা হয়েছে।
এসবের বিরুদ্ধে নগ্নতা ও অশ্লীলতার অভিযোগও আনা হয়েছে। পাশাপাশি এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সময় নষ্ট এবং নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ঠাট্টা মশকরার পাশাপাশি সবকিছুকেই উপহাসের পাত্র বানানো হয় বলে ফতোয়ার কারণে বলেছে জামিয়া বিনোরিয়া। এসব বিষয় বিবেচনা নিয়ে জামিয়া বিনোরিয়া বলছে, সীমা লঙ্ঘনে উৎসাহ দেয়ায় টিকটকের ব্যবহার চলতে দেয়া অসম্ভব।
এর আগেও অনৈতিকতা ছড়ানোর অভিযোগে পাকিস্তানের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা টিকটক নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। তখন সীমিত সময়ের জন্য ২০২১ সালে জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাস টিকটক নিষিদ্ধ ছিল। অশ্লীল কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার নিশ্চয়তা দেয়ায় পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।