আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়া বা বিক্রির বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই ব্যর্থ হয়েছে। কোম্পানিটি যুক্তি দিয়েছিল যে এই আইন অসাংবিধানিক। তবে ফেডারেল আপিল আদালত তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
টিকটকের আইনজীবীরা সেপ্টেম্বরে আদালতে বলেছিলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ১৭ কোটি মার্কিন ব্যবহারকারীর মত প্রকাশের স্বাধীনতায় “মারাত্মক প্রভাব” ফেলবে। কিন্তু আদালত রায় দিয়েছে, এই আইন “কংগ্রেস এবং ধারাবাহিক প্রেসিডেন্টদের ব্যাপক ও দ্বিদলীয় পদক্ষেপের ফলাফল।”
রায়ে আরও বলা হয়েছে, “এই আইন বিশেষভাবে বিদেশি প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলা করতে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ, যা চীনের (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) দ্বারা সৃষ্ট জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি প্রতিরোধে নেওয়া হয়েছে।”
কেন টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে?
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে যে টিকটকের মালিকদের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রের সম্পর্ক রয়েছে। তবে টিকটক এবং এর প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
টিকটক এবং বাইটড্যান্স এখন আইনের বিরুদ্ধে লড়াই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় অ্যাপটির জন্য আশার আলো হতে পারে।
২০২০ সালে প্রথম মেয়াদে টিকটক নিষিদ্ধের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও, ট্রাম্প নভেম্বরের নির্বাচনের আগে বলেছিলেন যে তিনি টিকটক নিষিদ্ধ হতে দেবেন না।
মার্কিন বাজারে টিকটকের ভবিষ্যৎ
আদালতের রায় অনুসারে, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে টিকটক এবং বাইটড্যান্স এখনো এই রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করেছেন, কারণ তিনি মনে করেন এটি মেটা (ফেসবুক) এর মতো প্রতিযোগীদের জন্য বাড়তি সুবিধা তৈরি করবে। মেটা ইতোমধ্যে ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে টিকটকের মতো শর্ট-ভিডিও ফিচার যুক্ত করেছে।
টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে আলোচনা চলতে থাকবে। তবে এটি এখনো স্পষ্ট নয় যে কোম্পানিটি এই আইনি যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।