বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আকর্ষণীয়ভাবে কনটেন্ট তৈরির জন্য টিকটকের ফিল্টার ব্যবহার করেন অনেকেই। ফিল্টার ব্যবহার করে নিজের অবয়ব পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন যে কেউ। এর মাধ্যমে কারও চেহারা বাঘের মতো হয়ে যেতে পারে আবার কারও চুল অন্য রঙের হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এমন কিছু ‘বিউটি ফিল্টার’ রয়েছে যা ব্যবহারকারীরা ‘সৌন্দর্য বাড়ানোর’ লক্ষ্য ব্যবহার করা হয়। তবে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কিশোর–কিশোরীদের প্ল্যাটফর্মটিতে এসব ফিল্টার আর ব্যবহার করতে দেবে না টিকটক। অর্থ্যাৎ ১৮ বছরের কম বয়সীদের আর ‘বিউটি ফিল্টার’ ব্যবহার করতে দেবে না চীনের এই প্ল্যাটফর্ম।
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব নিয়ে প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলা পর্যালোচনা করার পাশাপাশি লন্ডন ভিত্তিক ইন্টারনেট ম্যাটার্স নামক নন-প্রফিট সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণার পরিচালনার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। টিকটক বলছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ১৮ বছরের নিচে ব্যবহারকারীরা ‘কিছু চেহারা পরিবর্তনকারী ফিল্টার ব্যবহার করতে পারবে না।’
কোম্পানিটি বলছে, তারা ‘স্পষ্ট বা মজার উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা’ ফিল্টারগুলোর ব্যবহার বন্ধ করবে না টিকটক। তবে ‘চেহারা পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা’ ফিল্টারগুলো সীমিত করবে।
অন্য কথায়, টিকটকে কিশোর–কিশোরী এখনো তাদের পছন্দমতো ডিজিটাল ফিল্টার ব্যবহার করতে পারবে। তবে তারা ‘বিউটি ফিল্টার ব্যবহার করতে পারবে না। বয়স অনুযায়ী এই সীমাবদ্ধতা কার্যকর হবে। এই খবরটি কোম্পানির ইউরোপীয় সেফটি ফোরামে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে টিকটকের সেফটি এবং ওয়েলবিং পাবলিক পলিসি লিড ফর ইউরোপের ড. নিকো সো বলেন, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্বব্যাপী বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও ছোট বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ‘মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি’ নিয়ে কাজ করছে টিকটক। এটি ১৩ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের প্ল্যাটফর্মে আসা বন্ধ করবে। তবে এই সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি টিকটক। ১৮ বছরের নিচে ব্যবহারকারীরা বয়স নিয়ে মিথ্যা বলার বিষয়টিও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ আনা হবে।
টিকটক ‘১৩টি ইউরোপীয় দেশে’ অ্যাপের মধ্যে এমন কিছু রিসোর্স চালু করার পরিকল্পনা করছে, যা ব্যবহারকারীদের স্থানীয় হেল্পলাইনগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। যেগুলো ‘আত্মহত্যা, নিজের ক্ষতি, ঘৃণা, এবং হয়রানিসহ বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
টিকটকের ইন্টারনেট ম্যাটার্সের সঙ্গে করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘সৌন্দর্য বৃদ্ধির ফিল্টারগুলো একটি বিকৃত দৃষ্টি তৈরি করতে সাহায্য করে, যেখানে এই ধরনের নিখুঁত চেহারা স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করা হয়’। এটি অনলাইনে উল্লেখযোগ্য সামাজিক চাপ’ তৈরি করতে পারে। এছাড়া টিকটক ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতি দিন এক ঘণ্টার ডিফল্ট স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করেছে। তথ্যসূত্র: লাইফ হ্যাকার ও আজকের পত্রিকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।