বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মোবাইল ফোন গেইমের বিলিয়ন ডলার আয় নতুন কিছু নয়। ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক সেই ঘরানার বাইরে প্রথম কোন অ্যাপ হিসেবে হাজার কোটি ডলার আয়ের রেকর্ড করেছ।
প্ল্যাটফর্মটিতে গ্রাহকদের এমন হাত খুলে খরচের বহর দেখে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সম্ভবত বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়ের অ্যাপ হয়ে ওঠার পথে আছে চীনা এই অ্যাপটি।
এর আগে হাজার কোটি ডলার আয় করা চারটি অ্যাপের সবগুলোই ভিডিও গেইম বলে জানিয়েছে অ্যাপ বিষয়ক তথ্য সরবরাহ সাইট ডেটা ডটএআই। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড-এর ‘ক্যান্ডি ক্রাস সাগা’, টেনসেন্ট-এর ‘অনার অফ কিংস’, মিক্সি-এর ‘মনস্টার স্ট্রাইক’ ও সুপারসেলের ‘ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস’।
এখন পর্যন্ত এক হাজার দুইশ কোটি ডলারের বেশি আয় করে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাপ ‘ক্যান্ডি ক্রাশ।’ এই আয়ের হিসাব মিলেছে ‘গুগল প্লে’ ও অ্যাপলের ‘আইওএস অ্যাপ স্টোর’ থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।
তবে, টিকটক এই জনপ্রিয় গেইমকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে উল্লেখ রয়েছে সোমবার প্রকাশিত ডেটা ডটএআই-এর প্রতিবেদনে।
“টিকটক এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়ের মোবাইল অ্যাপে পরিণত হতে চলেছে।” – প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে এক বিবৃতিতে বলেন ডেটা ডটএআইয়ের ‘হেড অফ ইনসাইটস’ লেক্সি সিডো।
“২০২৪ সালের ভেতর ১৫০০ কোটি ডলারের মাইলফলকের কাছাকাছি পৌঁছবে তারা। প্রিয় কনটেন্ট নির্মাতাদের টিপ দেওয়ার জন্য অ্যাপটিতে রোজ এক কোটি ১০ লাখ ডলার খরচ করছেন গ্রাহকরা।”
এই প্রবণতা চালু থাকলে টিকটক বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক মোবাইল গেইম থেকেও এগিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা লেক্সি সিডোর।
“২০২৪ সালের শেষ নাগাদ অ্যাপটিতে সপ্তাহে প্রায় ৪০ ঘণ্টা কাজ করবেন টিকটকাররা, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।” – যোগ করেন তিনি।
এসব খরচ হয় টিকটক অ্যাপের ভেতর ‘কয়েন’ লেনদেনের মাধ্যমে, যা প্ল্যাটফর্মটির ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য উপহার কেনায় কাজে লাগে। এই উপহারগুলোর মাধ্যমে কনটেন্ট নির্মাতাদের পুরষ্কৃত করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। সে অর্থ পরবর্তীতে তারা ‘ক্যাশ আউট’ করতে পারেন। আর এমন লেনদেনের ৫০ শতাংশই যায় টিকটকের কাছে।
ডেটা ডটএআইয়ের তথ্য অনুসারে, টিকটকে লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাজেকটি ছিল উনিশ দশমিক ৯৯ ডলারে ১৩২১ কয়েন, অ্যাপটির ‘ইন-অ্যাপ’ আয়ের এক চতুর্থাংশই এসেছে এই প্যাকেজ থেকে। ‘ইন-অ্যাপ’ আয়ের পাশাপাশি, ব্যাপক জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির ই-কমার্স ও বিজ্ঞাপনসহ আরও অন্যান্য আয়ের উৎস রয়েছে।
টিকটকের পরে এক হাজার কোটি ডলার মাইলফলকের সবচেয়ে কাছাকাছি রয়েছে ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার ও জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। তবে, ২০২৩ এর শেষে এসে তারা টিকটকের তুলনায় যথাক্রমে দুইশ ও তিনশ কোটি ডলার পিছিয়ে আছে।
চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে পর পর দুটি মামলায় জিতেছে যা কোম্পানিটির সমালোচকদের কাছে বিবেচিত হচ্ছে কঠিন জবাব হিসাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।