জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরে চরাঞ্চলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তিল চাষ। চরের মাটি বেলে ও বেলে দোঁআশ হওয়ায় কম পরিশ্রমেই তিলের ভালো ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হয়। বাজারে তিলের প্রচুর চাহিদাও রয়েছে। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তিল চাষির সংখ্যা।
জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকা সত্বেও তিলের অল্প চাষ হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি চাষ হয়েছে। তিল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার চরঅষ্টধর, চন্দ্রকোণা, পাঠাকাটা, টালকী, বানেশ্বরদী ও উরফা ইউনিয়নের অগণিত চাষি। বাজারে তিলের দাম ভালো হওয়ায় দিন দিন চাষের পরিমান ও চাষির সংখ্যা বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুরের নকলার চন্দ্রকোনা, চরঅষ্টধর ও পাঠাকাটা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের যে দিকে দৃষ্টি যায় সেদিকেই শুধু তিল গাছের সবুজের সমারোহ চোখে পড়ে। বহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকার অপেক্ষেকৃত অনুর্বর জমিতে ধানের ফলন কম হওয়ায় ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এ এলাকার কৃষকরা ধান ছেড়ে তিলসহ অন্যান্য শস্য চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষি আফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এই উপজেলায় ৪-৫ হেক্টর জমিতে প্রায় শতাধিক কৃষক তিলের চাষ করছেন। যা গত বছরের দ্বিগুণ। গত বছর ২ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হয়েছিল। শেরপুরের উৎপাদিত তিলের দানার অধিক পুষ্ট। তাই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ভূরদী খন্দকারপাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ছাইদুল হক, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বাছুরআলগার কৃষক মুক্তার হোসেন, মোকলেছুর রহমানসহ অনেকেই বলেন, তিল চাষে খরচ খুবই কম। চাষিরা খরচের তুলনায় ৫-৬ গুন বেশি লাভ পায়। আর বাজারদর ভালো থাকলে চাষিরা আরো বেশি জমিতে তিলের চাষ করবে। কৃষি বিভগের পূর্ণ সহযোগীতা থাকলে চাষিরা যত্নসহকারে তিলের চাষ করবেন। এবং এই জেলার তিল চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবেন।
শস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্যান্য কৃষি পণ্য থেকে তিলে লাভ বেশি। তিল বেশিদিন মজুদ করে রাখতে হয় না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুমান্ত দাস বলেন, তিল একটি তৈলজাত ফসল। যা আমাদের দেশে আগে খুব কম চাষ করা হতো। এখন ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিল অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতেও ফলানো সম্ভব। আর তিল উৎপাদনে খরচ ও পরিশ্রম কম লাগে। আমরা চাষিদের বিভিন্নভবে সহযোগীতা করছি। আশা করছি আগামীতে তিল চাষের পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।