জুমবাংলা ডেস্ক : ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই জ্ঞানতাপস। বহু ভাষায় দখল ছিল তাঁর। তাই পড়াশোনার গণ্ডি বিশ্বের নানা ভাষাতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। তিনি শেষ বয়সে এসেও যে পরিমণ পড়াশোনা করতেন, তা জানলে তরুণরাও লজ্জা পাবে।
সবসময় বাড়িতে বসেই যে পড়াশোনা করতেন, এমনটা নয়। বরং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতেই বেশি সময় কাটাতেন।
ঢাকাবিশ্ববিদ্যলয়ের বর্তমান লাইব্রেরিটা টিএসসির কাছে। কিন্তু তখন এটা ছিল একটু দূরে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান জরুরি বিভাগটা যে জায়গায়, তখন সেখানেই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি।
একদিন সেই লাইব্রেরিতে গিয়েছেন পড়তে। আপন মনে পড়েই যাচ্ছেন। কখন যে সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়েছে, দুপুর পেরিয়ে বিকাল-সন্ধ্যা, তারপর রাত।
সেদিকে খেয়ালই নেই শহীদুল্লাহর। নাওয়া-খাওয়া ভুলে বইয়ের পাতায় মগ্ন তিনি।
এক সময় রাত গভীর হয়েছে, তবু তার হেলদোল নেই। ওদিকে লাইব্রেরির মূল ফটকে তালা দিয়ে চলে গেছে লাইব্রেরিয়ানরা।
বাড়ির লোকেরা দুশ্চিন্তায় অস্থির।
লোকটা গেল কোথায়! শেষমেষ হদিস পাওয়া গেল তাঁর। ঢিাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে। রাত তখন তিনটা। দারোয়ানকে ডাকিয়ে তালা খুলে বের করা হলো শহীদুল্লাহকে।
বাড়ির লোকেরা তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় অস্থির, আর তিনি কিনা তাঁদের ওপর বিরক্ত। রাগতস্বরে বললেন, তোমরা আমাকে একটু শান্তিতে পড়াশোনাও করতে দেবে না! আর কিছুক্ষণ পড়রে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হতো!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।